
ছবি: সংগৃহীত
ডমিনিকান রিপাবলিকের রাজধানী সান্তো ডোমিঙ্গোতে একটি নাইটক্লাবের ছাদ ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে 'জেট সেট' নাইটক্লাবে জনপ্রিয় মেরেঙ্গে গায়ক রুবি পেরেজের কনসার্ট চলাকালে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ দুর্ঘটনায় রুবি পেরেজ নিজেও প্রাণ হারিয়েছেন।
খবরে বলা হয়, রাত ১২টা ৪৪ মিনিটে দুর্ঘটনার সময় ক্লাবটিতে ৫০০ থেকে ১ হাজার জন উপস্থিত ছিলেন। ক্লাবটিতে ৭০০ জন বসার ও প্রায় ১ হাজার জন দাঁড়িয়ে থাকার সক্ষমতা রয়েছে। নাইটক্লাবটির ছাদ কীভাবে ধসে পড়ল তা এখনো জানা যায়নি। দুর্ঘটনার পর প্রায় ৪০০ জন উদ্ধারকর্মী জীবিতদের উদ্ধারে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে।
নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কর্তৃপক্ষ। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে এখনো জীবিত থাকতে পারেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সান্তো ডোমিঙ্গোর জরুরি সাড়াদান কেন্দ্রের পরিচালক হুয়ান ম্যানুয়েল মেন্ডেজ।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেট সেট ছিল সান্তো ডোমিঙ্গোর একটি জনপ্রিয় নাইটক্লাব, যেখানে প্রতি সোমবার সন্ধ্যায় কনসার্ট অনুষ্ঠিত হতো। রাজনীতিবিদ, ক্রীড়াবিদ ও বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারা প্রায়ই এতে অংশ নিতেন।
নাইটক্লাবের ভেতরের ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্চের সামনে লোকজন টেবিলে বসে আছেন এবং পেছনে কিছু মানুষ রুবি পেরেজের গানের তালে নাচছেন।
এদিকে, রুবি পেরেজের মেয়ে জুলিন্কা পেরেজ স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার বাবাকে ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবিত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। সে সময় তারা রুবিকে গান গাইতে শুনেছিলেন। তার ভাষ্য, ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়ার সময় রুবি গান গাইতে শুরু করেন, যাতে উদ্ধারকারীরা তাকে খুঁজে পান।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় রুবি পেরেজের মৃত্যু ডমিনিকান সংস্কৃতি অঙ্গনের এক অপূরণীয় ক্ষতি বলে বিবেচিত হচ্ছে।
তারুণ্যে বেসবল খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও এক দুর্ঘটনায় পা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তিনি সঙ্গীতকেই বেছে নেন। ১৯৮৭ সালে তিনি সলো শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ‘বুসকানডো তুস বেসোস, ডামে ভেনেনো, এনামোরাদো দে এয়া, হাজমে অলভিদারলা, সোবরেভিভিরে, তু ভাস আ ভোলার, ইপোক্রেসিয়া, এল পেরো আঝেনো, আসী নো তে আমারান জামাস, এবং তোন্তো কোরাজন’-এর মতো হিট গান তাকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায়।
তার অ্যালবাম ‘রুবি পেরেজ’ ট্রপিক্যাল চার্টে ১৫ নম্বরে এবং ‘লাভ হার’ লাতিন চার্টে ২৯ নম্বরে অবস্থান করেছিল। তিনি 'অর্কেস্ট্রা অব দ্য ইয়ার' ও 'মেরেঙ্গে অব দ্য ইয়ার' বিভাগে 'ক্যাসান্দ্রা অ্যাওয়ার্ডস' লাভ করেন।
শহীদ