
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের তোলা উচ্চ পরিমাণের শুল্কের কারণে। সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদেশি পণ্যগুলির উপর শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যার মূল লক্ষ্য ছিল বিদেশি পণ্যের উপর মার্কিন গ্রাহকদের নির্ভরতা কমিয়ে আনা এবং যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বাড়ানো। তবে, এই সিদ্ধান্তের বাস্তব প্রভাব নিয়ে বিশেষজ্ঞরা যথেষ্ট সন্দিহান।
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ অন্যান্য দেশগুলোর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। ট্রাম্পের নীতি অনুযায়ী, এটি হয়তো যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করবে, কিন্তু এর ফলে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হতে পারে এবং এর প্রভাব দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যে দেশগুলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, ভারত ও অন্যান্য দেশগুলোর সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়, তাদের জন্য এখন একটি নতুন বিপদ রয়েছে। চীনের মতো বড় উৎপাদকরা, যাদের মার্কিন বাজারে প্রবেশে শুল্ক বাধা সৃষ্টি হচ্ছে, এখন অন্যান্য দেশের বাজারে তাদের পণ্য ছাড়ার জন্য চাপ তৈরি করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, বিশ্বজুড়ে এক ধরনের বাণিজ্য যুদ্ধের সৃষ্টি হতে পারে, যার ফলে দেশগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ করতে শুরু করবে।
এছাড়া, চীন বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ এবং বিরল ধাতুর অন্যতম প্রধান উৎস, যা বিভিন্ন শিল্পে যেমন মোবাইল ফোন এবং প্রতিরক্ষা খাতে ব্যবহৃত হয়। চীন এই রিসোর্সের রপ্তানি কিছুটা সীমিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে, যা আরও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে।
বিশ্ব অর্থনীতি এখন এক কঠিন পরিস্থিতে রয়েছে। শুল্ক বৃদ্ধির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে এবং চাহিদা কমে যেতে পারে, যার ফলে বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কা আরও প্রবল হচ্ছে। এসব পদক্ষেপের ফলস্বরূপ দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব মোকাবেলা করতে বিশ্ব নেতাদের জন্য এটি একটি কঠিন পরীক্ষা।
সূত্র: আল-জাজিরা
মেহেদী হাসান