
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশসহ প্রায় ৬০ টি দেশের জন্য আরোপিত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশগুলোর ওপর ন্যুনতম ১০% রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ অর্থাৎ পাল্টা শুল্কারোপ বজায় থাকবে। বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্যদিকে ২১ শতাংশ বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের জন্য।
মার্কিন শুল্ক নীতিতে বড় পরিবর্তন। প্রায় ৬০ টি দেশে ওয়াশিংটন আরোপিত পাল্টা শুল্ক কার্যকরের ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই তা স্থগিত করল হোয়াইট হাউস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থ্রুট সোশ্যালে এ ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে আরোপিত নতুন শুল্ক যার আওতায় পড়বে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ। তবে দেশগুলোর ওপর ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক বজায় রাখবে ওয়াশিংটন। আগে থেকে ধার্য ১৫% সহ বাংলাদেশকে গুণতে হবে ২৫ শতাংশ শুল্ক। এর ফলে কিছুটা স্বস্তি ফিরবে দেশের রপ্তানি বাজার বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে।যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর প্রায় ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ যার মধ্যে বড় অংশই তৈরি পোশাক।
এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কাজও করছিলাম। এটা আমাদের মন থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত, যা যুক্তরাষ্ট্রসহ গোটা পৃথিবীর জন্য ইতিবাচক। যারা কিছু করেনি তাদের কোনো ক্ষতি করতে চাই না। দেশগুলো আলোচনায় বসতে চায়। আমরা সবকিছু ঠিক করতে চাই।
তবে একেবারেই ভিন্ন নীতি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের ক্ষেত্রে। ওয়াশিংটনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক এই প্রতিদ্বন্দ্বীর জন্য আবারো শুল্ক বাড়ানোর হয়েছে। এ দফায় ২১ শতাংশ বৃদ্ধি করে ১২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়েছে বেইজিং এর ওপর। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ৮৪ শতাংশ শুল্কারোপ করেছিল চীন।
এদিকে নতুন শুল্ক ঘোষণার পরেই চাঙ্গা হয়ে ওঠে বৈশ্বিক পুঁজিবাজার। সিদ্ধান্তের ঘন্টাখানেকের মধ্যে সাড়ে ৯ শতাংশ বেড়েছে মার্কিন পুঁজিবাজারের সূচক। স্থিতি ফিরতে শুরু করেছে এশিয়ার শেয়ার বাজারেও।
পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বুধবার ১০ থেকে ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয় প্রায় ৬০ টি দেশে।
মায়মুনা