ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির বার্তা, গাজা ইস্যুতে ফ্রান্স-মিশর-জর্ডানের একজোট

প্রকাশিত: ২০:৩০, ৯ এপ্রিল ২০২৫

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির বার্তা, গাজা ইস্যুতে ফ্রান্স-মিশর-জর্ডানের একজোট

ছবি: সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত সময়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো মিশর সফরে গিয়ে গাজার নিপীড়িত জনগণের পক্ষে দাঁড়ালেন। যখন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকার দখল নিয়ে নতুন পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন, ঠিক তখনই ম্যাক্রো মিশরে উপস্থিত হয়ে সবাইকে চমকে দেন।

মিশরের রাজধানী কায়রোতে সাধারণ মানুষের সাথে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসির আমন্ত্রণে আয়োজিত এক ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেন ম্যাক্রো জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ। বৈঠকে তারা গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধির আহ্বান জানান এবং অবিলম্বে জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর উপর জোর দেন।

বৈঠক শেষে কায়রোতে রেড ক্রিসেন্টের ওয়ারহাউস পরিদর্শনে যান ম্যাক্রো। সেখানে সাংবাদিকদের সামনে আবেগঘন বক্তব্যে তিনি বলেন, "গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষ এখন এক ফাঁদে বন্দি। শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, পরিবার হারাচ্ছে হাজারো মানুষ। তবুও তারা গাজাতেই ফিরতে চায়, কারণ ওটাই তাদের ঘর। গাজা কোনো রিয়েল এস্টেট প্রকল্প নয়-এটি একটি জনগোষ্ঠীর অস্তিত্বের প্রশ্ন।"

তিনি আরও জানান, ফ্রান্স গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীর দখলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে এবং ফিলিস্তিনিদের জোর করে উচ্ছেদ না করার আহ্বান জানান। তিনি সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাবও দেন, যার লক্ষ্য দ্বিরাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়ন।

ম্যাক্রোর এই অবস্থান নতুন নয়। এর আগেও তিনি গাজায় ইসরায়েলি দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প যখন গাজায় বিলাসবহুল নগরী গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন, তখনই ম্যাক্রো তার প্রতিবাদ জানান এবং ট্রাম্পকে বলেন, “২০ লাখ মানুষকে আপনি একদিনে সরে যেতে বলতেই পারেন না।

ফ্রান্সের এমন সাহসী অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন গতি আনতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

 

মেহেদী হাসান

আরো পড়ুন  

×