
ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক উস্কানিমূলক বক্তব্য ও হটকারী সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। তার এই আচরণের প্রতিক্রিয়ায় ইরান তাদের সামরিক বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতা (রেড অ্যালার্ট) অবস্থানে নিয়ে গেছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সরাসরি এই নির্দেশনা দিয়েছেন।
ইরান ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক ও বাহরাইনসহ আঞ্চলিক মিত্রদের কাছে বিশেষ নোটিশ পাঠিয়েছে। এই নোটিশে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যদি মার্কিন বাহিনী এসব দেশের ভূখণ্ড বা আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানের বিরুদ্ধে কোনো হামলা চালায়, তাহলে তা সরাসরি শত্রুতার কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে। এক ইরানি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এমন কোনো পদক্ষেপের পরিণতি হবে অত্যন্ত গুরুতর।
বর্তমানে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সরাসরি কোনো আলোচনায় বসতে রাজি নয়। তবে তারা ওমানের মাধ্যমে পরোক্ষ আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইরানি কর্মকর্তাদের মতে, এই পদ্ধতিতে তারা ওয়াশিংটনের প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবে।
গত ৭ মার্চ ট্রাম্প খামেনির কাছে আলোচনার প্রস্তাব পাঠালেও মাত্র তিন সপ্তাহ পরই ৩০ মার্চ তিনি নতুন করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও সম্ভাব্য সামরিক হামলার হুমকি দেন। এর জবাবে খামেনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে ইরান মার্কিন হুমকিকে ভয় পায় না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই ধরনের অস্থির ও আগ্রাসী আচরণ মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। তার একতরফা সিদ্ধান্ত শুধু ইরান নয়, পুরো অঞ্চলকেই সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো - কে বা কীভাবে এই অগ্নি উত্তেজনা থামাবে? কারণ ট্রাম্পের এই রাজনৈতিক খেলায় গোটা বিশ্বশান্তি ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
সূত্র:https://youtu.be/-j1TH9s4wEg?si=ozQR2jbniK9ttwVg
আঁখি