
ছবি : সংগৃহীত
মিশরের সশস্ত্র বাহিনী ইসরাইলের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। দেশটির কৌশলগত বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল ডক্টর সামির ফারাগ সতর্কবার্তা দিয়েছেন যে, 'আগামীকালই যুদ্ধ শুরু হতে পারে'—এই আশঙ্কা থেকে মিশর সম্পূর্ণ প্রস্তুত অবস্থানে রয়েছে। তার এই বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মিশর ও ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা একটি বড় ধরনের সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ইসরাইল মিশরের বিরুদ্ধে সীমান্তে সৈন্য সমাবেশের অভিযোগ তুলেছে। মধ্যপ্রাচ্যের 'ঘুমন্ত দৈত্য' খ্যাত মিশরের সামরিক শক্তি ইসরাইলের সমতুল্য বলে বিবেচিত হয়। ইসরাইল ইতিমধ্যে এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে। ডক্টর ফারাগ তার বক্তব্যে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাহসিকতার প্রশংসা করে বলেছেন, 'তাদের সামরিক শক্তি সীমিত হলেও তারা বীরত্বের সাথে লড়াই করছে, যা আলজেরিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামের মতোই অনুপ্রেরণাদায়ক।'
মিশরের জনগণকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সামরিক বাহিনীতে যোগদানের আহ্বান জানানো হয়েছে। ঈদুল ফিতরের সময় এই আহ্বানকে ডক্টর ফারাগ 'জাতীয় কর্তব্যের স্বাভাবিক প্রকাশ' বলে উল্লেখ করেছেন। এটি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মিশরের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। একই সময়ে ফিলিস্তিনিদের পুনরুজ্জীবিত করতে মিশরের ভূমিকার কথাও তিনি স্পষ্ট করেছেন।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফ্রান্স ইসরাইলের গাজা হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, 'ফ্রান্স গাজার উপর ইসরাইলের চলমান হামলা ও যুদ্ধবিরোধী লঙ্ঘনের নিন্দা জানায়।' তার এই বক্তব্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ইসরাইলের ক্রমবর্ধিত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট অবস্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘাতের সূত্রপাত হতে পারে। ডক্টর ফারাগের বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। মিশর যদি ইসরাইলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য একটি ব্যাপক যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। সবাই এখন উদ্বেগের সাথে অপেক্ষা করছে—আগামীকাল কী নিয়ে আসবে?
আঁখি