ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে গাজায় আবাসন ব্যবসা করতে চান ট্রাম্প

প্রকাশিত: ২৩:০২, ৮ এপ্রিল ২০২৫

ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে গাজায় আবাসন ব্যবসা করতে চান ট্রাম্প

ছবিঃ সংগৃহীত

আবারও গাজা পুনর্গঠনের নামে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের মনোবাসনা ব্যক্ত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সেখানে মুক্ত অঞ্চল তৈরি করে আবাসন ব্যবসা করতে চান তিনি।

এদিকে, তেল আবিবের বর্বরতায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ গেছে আরও ৬০ ফিলিস্তিনির। আইডিএফ-এর সাবেক সেনাদের সংগঠন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স-এর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বাফার জোনের নামে গাজায় ইসরায়েলের ‘কিলিং জোন’ প্রতিষ্ঠার গোপন মিশনের চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সারা বিশ্ব যখন গাজায় আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল, তখন ওয়াশিংটন সফরে রয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। গাজা, ইরান, সিরিয়া সহ মধ্যপ্রাচ্যের নানা ইস্যুতে হয় আলোচনা।

পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আবারও পুনর্গঠনের নামে গাজা নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে সরিয়ে আবাসন ব্যবসার কথা বলে আরও একবার উসকে দিলেন সমালোচনা। যথারীতি, মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানান বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি এটি আবাসন ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি শান্তিবাহিনী গাজার নিয়ন্ত্রণ এবং মালিকানা নিলে ভালোই হবে। ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন দেশে সরিয়ে নিলে একটি মুক্ত অঞ্চল পাওয়া যাবে। প্রচুর দেশ রয়েছে যারা আগ্রহী। সেখানে প্রতিদিন মানুষ হত্যা করা হবে না।”

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা গাজাবাসীকে অবরুদ্ধ করে রাখিনি। তারা যেতে চাইলে কয়েকটি দেশ তাদের গ্রহণে আগ্রহী। এটি সঠিক হবে, কেননা গাজা পুনর্নির্মাণে অনেক সময় লাগবে। আর এ সময় তারা বিকল্প বেছে নিতে পারে।”

এদিকে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে দেশটির সেনারাই। গাজার বাফার জোনের নামে ‘ডেথ জোন’ প্রতিষ্ঠার গোপন মিশন শুরু করেছিল আইডিএফ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইডিএফ সদস্যদের বয়ানে লোমহর্ষক সব বর্ণনা উঠে এসেছে খোদ ইসরায়েলের সাবেক সেনাদের সংগঠন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স-এর প্রতিবেদনে।

ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স-এর উপদেষ্টা পরিচালক জোয়েল কারমেল বলেন, “বাফার জোন তৈরির উদ্দেশ্যই ছিল সেখানে থাকা সবকিছু ধ্বংস করা। এর মধ্যে কৃষিজমি, বহু স্থাপনা ছিল। ওই এলাকায় যে কেউ প্রবেশ করুক, সন্ত্রাসী বিবেচনা করে গুলি করা হতো।”

বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনার মধ্যেও গাজায় চলছে ইসরায়েলি তাণ্ডব। গেল ২৪ ঘণ্টায়ও নেতানিয়াহু বাহিনীর হামলায় প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৬০ ফিলিস্তিনির। তাদের ওপর এমন বর্বরতার পরও সৌদি আরবসহ আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নীরব ভূমিকায় হতাশ ফিলিস্তিনিরা।

সূত্রঃ https://youtu.be/PuX81wCZPIg?si=Zd2T2wsY8Z_i2-Rn

ইমরান

×