
ছবি: সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার দূরে, অ্যান্টার্কটিক মহাসাগরের বরফে আচ্ছাদিত হার্ড আইল্যান্ডে কোনো মানুষের বসবাস নেই। দুর্গম এই দ্বীপে পৌঁছাতে নৌপথে সময় লাগে কমপক্ষে সাত দিন। সর্বশেষ ২০১৬ সালে সেখানে মানুষের পা পড়েছিল। তবে এই দ্বীপে রয়েছে লাখ লাখ পেঙ্গুইনের বাস।
অবাক করার মতো হলেও সত্য, এমন জনমানবহীন দ্বীপেও এবার যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ঘোষণায়, এই মানববসতি-অযোগ্য অঞ্চলের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যেখানে কোনো মানুষই থাকে না এবং রপ্তানির কোনো সুযোগই নেই, সেখানেও শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্প হাস্যরসে পরিণত হয়েছেন। কেউ কেউ রসিকতা করে বলছেন, ট্রাম্প রাশিয়ার উপর শুল্কারোপ না করে যেন পেঙ্গুইনদেরই টার্গেট করেছেন।
শুধু হার্ড দ্বীপই নয়, এর পাশাপাশি জনমানবহীন ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপেও একইভাবে ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার অন্তর্গত, মাত্র ২ হাজার মানুষের বাসযোগ্য নরফোক দ্বীপে ২৯ শতাংশ শুল্ক এবং কোকোস ও ক্রিসমাস দ্বীপেও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা থাকলেও নতুন করে উত্তেজনা না বাড়াতে রাশিয়াকে শুল্ক তালিকা থেকে বাদ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মেহেদী হাসান