
ছবি: সংগৃহীত
গাজায় দীর্ঘদিনের বর্বর আগ্রাসন ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মুখে পড়ে বিশ্বজুড়ে বেড়েছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা ঝুঁকি। সম্প্রতি হাঙ্গেরি সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্রগামী তার বিমানকে নির্ধারিত পথ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার ঘুরপথে চলতে হয়,কেবলমাত্র ইউরোপের কয়েকটি দেশের আকাশসীমা এড়াতে।
বিশ্বজুড়ে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘৃণা ও ক্ষোভের ঢেউ ইতোমধ্যে প্রকাশ্য। আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, আইসল্যান্ডসহ অনেক দেশেই তাকে গ্রেপ্তারের সম্ভাবনা থাকায় সংশ্লিষ্ট দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করলেই তার বিমানকে অবতরণে বাধ্য করে গ্রেপ্তারের শঙ্কা ছিল। ফলে যুক্তরাষ্ট্র সফরের পুরো রুটই নির্ধারিত হয়েছিল ব্যতিক্রমী সতর্কতা ও পরোক্ষ পথ ধরে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নেতানিয়াহুকে বহনকারী বিমানটি গ্রিস, ইতালি ও ফ্রান্সের মধ্য দিয়ে আটলান্টিক পাড়ি দেয়, যাতে জরুরি প্রয়োজনে নিরাপদ অবতরণ সম্ভব হয়। এমনকি গেল ফেব্রুয়ারিতেও যুক্তরাষ্ট্র সফরে একই ধরনের নিরাপত্তা সতর্কতা নিতে হয়েছিল নেতানিয়াহুকে।
আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও তিনি হাঙ্গেরি সফর করেন, কারণ দেশটি আইসিসির আদেশ মানতে বাধ্য নয়। তবে যেসব দেশ আইসিসির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতিশীল, তাদের আকাশসীমা নেতানিয়াহুর জন্য আজ বিপজ্জনক।
ওয়াশিংটনে পৌঁছেও তার সফর ঘিরে সৃষ্টি হয় নানা বিতর্ক ও নিরাপত্তা জটিলতা। পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয় সম্ভাব্য জুতার হামলা ও বিক্ষোভের আশঙ্কায়। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুর এবারের যুক্তরাষ্ট্র সফর ছিল ‘লজ্জাজনক’ এবং ‘ভীতিপূর্ণ’ এক রাজনৈতিক অভিযাত্রা।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা ও গণহত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় আন্তর্জাতিক মহলে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান বিরূপ প্রতিক্রিয়া তাকে আক্ষরিক অর্থেই আকাশপথেও অনিরাপদ করে তুলেছে।
মেহেদী হাসান