
সাগরের নিচে গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ করছে চীন
সাগরের নিচে পৃথিবীর প্রথম স্থায়ী গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ করছে চীন। মূলত সাগর থেকে মিথেন উত্তোলনের পরিকল্পনা থেকে এই মেগা প্রজেক্ট শুরু করা হয়েছে। পরিকল্পনাটি সফল হলে দেশটি যে পরিমাণ জ্বালানির মালিক হবে, তা পারস্য উপসাগরের তেল মজুতকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এই তেল পেয়ে গেলে চীন তেলের বিশ্ববাজারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। খবর দ্য ইউরাশিয়ান টাইমসের।
আনুমানিক ৮০ বিলিয়ন টন জ্বালানি তেলের সমান শক্তিশালী মিথেন বরফে সঞ্চিত রয়েছে। এটি পারস্য উপসাগরের ৫০ বিলিয়ন টন প্রমাণিত জ্বালানি তেলের মজুতের চেয়েও বেশি। মিথেনসমৃদ্ধ বিশাল হাইড্রেট মজুত পৃথিবীজুড়ে জ্বালানির হিসাব-নিকাশকে একেবারে বদলে দিতে পারে। কাজটিকে তারা কোল্ড স্লিপ জোন হিসেবে নাম দিয়েছে। গভীর সমুদ্রে মিথেনসমৃদ্ধ ওই শীতল অঞ্চলে স্টেশন নির্মাণ করা হবে।
এই গবেষণাগারে ছয়জন বিজ্ঞানী থাকবেন। অর্থাৎ পানির নিচে থাকার সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা করা হবে এখানে। ২০৩০ সালের মধ্যে কাজ শুরু করার জন্য তা প্রস্তুত হবে। সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রকল্পটি গবেষণার চেয়েও বেশি কিছু। কারণ দক্ষিণ চীন সাগর চীনের জন্য একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অঞ্চল, একটি সামরিক হটস্পট। এমন স্থানে শক্তির এতবড় সম্ভাবনাময় উৎসের খোঁজে অভিনব স্থাপনা নির্মাণ অবশ্যই একটি কৌশলগত পদক্ষেপ।