
ছবি: সংগৃহীত
উপসাগরীয় মুসলিম দেশগুলো কিছুদিন আগেই সকল অবস্থায় ইরানের পাশে থাকবে বলে জানায়। তারা আরো বলে, মার্কিন বাহিনীর যেকোনো হামলার অংশ হবে না তারা। এখন ইরান এসব দেশকে হুমকি দিচ্ছে। মার্কিন হামলায় এসব দেশ যদি সহযোগী হয়, তাহলে ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে এমন হুঁশিয়ারি দিচ্ছে তেহরান।
মধ্যপ্রাচ্যে এবার দেখা দিয়েছে টানটান উত্তেজনা। ইরানকে বাঁচাতে চাইল কয়েকটি উপসাগরীয় দেশ। অথচ, সেই ইরানই এখন প্রতিবেশী দেশগুলোকে হুমকি দিচ্ছে। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, ইরানের উপর হামলায় এসব দেশ কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী হতে পারবে না। তেহরানের হুমকি পাওয়া প্রায় সবকটি দেশেই রয়েছে মার্কিন ঘাঁটি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন ও তুরস্ককে কঠোর ভাষায় সতর্ক করেছে ইরান। সতর্কবার্তায় বলা হয়, এসব দেশ যদি মার্কিন অভিযানে সহায়তা করে বিশেষ করে নিজেদের আকাশসীমা ও ভুখন্ড ব্যবহার করতে অনুমতি দেয় তাহলে তাদেরকে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামিনী দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি সামরিক অভিযানের হুমকি দেওয়ার পর এমন প্রতিক্রিয়া দেখালেন খামিনী।
ইরানও তাদের সামরিক প্রস্তুতি জোরদার এবং প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান দৃঢ় করে। এতে করে পুরো উপসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধ তৈরি হওয়ার সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
আরব উপসাগরীয় দেশগুলো এখন জটিল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে। একদিকে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র, অপরদিকে মার্কিন হামলায় সহযোগিতা করলে ইরানের প্রতিশোধের ঝুঁকিও রয়েছে।
এই অঞ্চল বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই এখানকার প্রতিটি সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে উপসাগরীয় এলাকার দেশগুলো এখন আছে উভয়সংকটে।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব ইরান প্রত্যাখ্যান করলেও তারা জানিয়েছে, ওমানের মধ্যস্থতায় পরোক্ষ সংলাপ চালিয়ে যেতে চায়। ইরানি একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, পরোক্ষ আলোচনায় আমরা জানতে পারব যুক্তরাষ্ট্র আদৌ একটি রাজনৈতিক সমাধানে আগ্রহী কি না। যুক্তরাষ্ট্র যদি আন্তরিকতা দেখায় তাহলে শিগগিরই এ ধরণের সংলাপ শুরু হতে পারে।
মায়মুনা