
ছবি: সংগৃহীত
আবারও ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী হুথিদের হামলার শিকার হয় যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী ইউএসএস হ্যারি এসব ট্রুম্যান। রবিবার স্থানীয় সময় সকালে যুদ্ধজাহাজটিতে হামলা চালিয়েছে হুথিরা। গোষ্ঠিটির দাবি, এই হামলা যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের জবাব এবং ইয়েমেনের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করার প্রতিক্রিয়া।
ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি জানান, এই অভিযান কয়েক ঘন্টা ধরে চলে এবং এসময় নৌ, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র একসাথে অংশ নেয়। তিনি বলেন, ইয়েমেন বাহিনী একটি মার্কিন সরবরাহ জাহাজ ও ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যানকে স্থানীয়ভাবে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
তিনি আরো বলেন, ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো ইয়েমেনের জন্য ধর্মীয় ও মানবিক দায়িত্ব। যতদিন গাজায় হামলা ও অবরোধ চলবে ততদিন ইয়েমেনের অভিযান চলবে।
এর আগে ইয়েমেনের ড্রোন বাহিনী ইসরাইলের তেল আবিবে একটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ইয়াবা ড্রোন। এই হামলাকে ফিলিস্তিনিদের বিজয় বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
এছাড়াও, ইয়েমেনি আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের একটি জায়েন্ট সার্ক এবং ৩০৬ গোয়েন্দা ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এটি শাদা প্রদেশে গোয়োন্দা মিশন চালাচ্ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। স্থানীয়ভাবে তৈরি একটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এটি ধ্বংস করা হয়।
এর আগে ইয়েমেনি ভুখন্ডে নতুন করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার রাতে শাদা শহরে হাফসিন এলাকায় একটি সৌরবিদ্যুৎ স্টোর ও একটি বাড়িতে চালানো হয় হামলা। এই হামলায় দুইজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
মার্কিন যুদ্ধবিমান আরো পাঁচটি হামলা চালিয়েছে শাদা শহরের পূর্বদিকে। লোহিত সাগরের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত কৌশলগত কামারান দ্বীপেও পাঁচবার বোমা ফেলা হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়ে আসছে হুথি বিদ্রোহীরা। মূলত গাজার মানুষের প্রতি সংহতি জানাতেই এসব হামলা চালাচ্ছে তারা। হুথিদের অনবরত হামলার মুখে বন্ধ হয়ে গেছে ইসরাইলের এলাত বন্দর।
গাজায় হামলা না থামা পর্যন্ত তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
মায়মুনা