
ছবিঃ সংগৃহীত
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি উপসাগরীয় মুসলিম দেশ ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যাতে ইরান আক্রমণ করার জন্য এসব দেশের আকাশসীমা ব্যবহার করতে না পারে। এর ফলে ইরান ইস্যুতে যুদ্ধের পরিস্থিতি নতুন মাত্রা পেয়ে গেছে, এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও মার্কিন প্রশাসন একপ্রকার কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। যদিও উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, মূলত এসব ঘাঁটি থেকেই সম্প্রতি মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে।
হঠাৎ করেই যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরবসহ অন্যান্য মুসলিম দেশগুলো শত্রুতে পরিণত হয়েছে। এ পরিস্থিতির পেছনে অন্যতম কারণ হলো পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান হোয়াইট হাউজের সঙ্গে সমঝোতায় না বসার সিদ্ধান্ত নেয়, যার পরিণতিতে মার্কিন প্রশাসন ইরানে ভয়াবহ বোমা হামলা চালানোর হুমকি দেয়। ট্রাম্পের এমন আগ্রাসী মন্তব্যের পর বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। তার মন্তব্যের পরই ইরানের সর্বোচ্চ প্রতিরক্ষা বাহিনী, আইআরজিসি, সতর্ক অবস্থানে চলে যায় এবং যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এমনকি তারা ইরানের ৪টি মিসাইল সিটির লঞ্চারে ক্ষেপণাস্ত্র ভরে প্রস্তুত হয়ে থাকে।
আইআরজিসি যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দিয়ে জানায় যে, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে লক্ষ্য করে কোন সামরিক অভিযান চালায়, তাহলে ভারত মহাসাগরে অবস্থিত ব্রিটিশ-আমেরিকান নৌঘাঁটি এবং মার্কিন বাহিনীর সামরিক ঘাঁটিগুলো বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে। এদিকে, ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা প্রধান আলি লারিজানি ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির দিকে মনোযোগ দেওয়ার কথা জানান, যাতে দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
তথ্যসূত্রঃ https://youtu.be/DyhABdJxLE8?si=p3uX6dZy4_QyLllR
মারিয়া