ছবিঃ সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধামকির পর মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তেহরানের দ্বোরগড়ায় মার্কিন পরমাণু বিমান মোতায়েন করার পর উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সময়ে, সেই বিমান লক্ষ্য করে ইরানের হামলার শঙ্কা যেন পরিস্থিতিকে আরো তীব্র করে তুলেছে।
এরই মাঝে, যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে তৃতীয় রণতরী পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে, যা আরও উত্তপ্ত করেছে পরিস্থিতি। পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের বহু পুরনো বিরোধ রয়েছে, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে এই উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছান। তেহরানকে চুক্তির আওতায় না আনতে পারলে বোমা হামলার হুমকিও দেয় ওয়াশিংটন।
এছাড়া, ট্রাম্প প্রশাসন শুধুমাত্র হুমকি ধামকিতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, ভারত মহাসাগরে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি দিয়েগো গার্সিয়ায় বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্যাটেলাইট চিত্রে ৬টি স্টেল্ট বি টু মডেলের বিমান ধরা পড়েছে, যেগুলো ভারী বোমার পাশাপাশি পারমাণবিক বোমা বহনেও সক্ষম।
যুক্তরাষ্ট্রের এই উস্কানির বিপরীতে, ইরান পরমাণু ইস্যুতে তার অবস্থান অব্যাহত রেখেছে এবং জানিয়েছে, হামলা হলে তারা যথাযথ জবাব দেবে। তবে, সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওয়াশিংটন হামলা চালানোর আগেই দিয়েগো গার্সিয়া ঘাঁটিতে সামরিক কমান্ডারদের হামলার আহ্বান জানিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ, এবং দ্বিপটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রেখেছে তেহরান।
মারিয়া
