
ছবি: সংগৃহীত
তেল আবিব, হোলন এমনকি জেরুজালেম পর্যন্ত আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে উঠল ভয়ানক সাইরেনের শব্দ। মানুষ ছুটল নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে। ইসরাইলের আকাশে বাতাসে আতঙ্ক।
ইদানিং এভাবেই যাচ্ছে ইসরাইলের দিনগুলো।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ জানায়, ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ইসরাইলি সীমান্তে ঢোকার আগেই ভূপাতিত করেছে। রবিবার সকাল ১০:৪১ মিনিটে কেন্দ্র ইসরাইল সেফেলা অঞ্চল ও জেরুজালেম জুড়ে সাইরেন বাজে।
এই ঘটনার পর ইসরাইলের জরুরি পরিসেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড এ্যাডাম জানায়, এতে দুইজন আহত হয়েছেন। একজন মহিলা নিরাপদ আশ্র নিতে গিয়ে রাস্তার গরৃতে পা পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। আরেকজন নারী নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার সময় দরজায় লেগে আহত হন।
তবে এখানেই থেমে নেই ঘটনা। হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক বিবৃতিতে জানান গত ২৪ ঘন্টায় তারা মার্কিন রণতরী ট্রুম্যান কে লক্ষ্য করে তিন দফা হামলা চালিয়েছে তাদের বাহিনী। এ হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে ক্রুজ মিসাইল ড্রোন এবং নৌ অপারেশন।
গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশে ২০২৩ সাল থেকে হামলা চালিয়ে আসছে হুথি। এগুলো তারই ধারাবাহিকতা।
ইয়েমেনের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পরিষদের প্রধান মাহাদী আল মাসাদ স্পষ্ট ভাষায় বলেন, আমেরিকার হামলা আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না, বরং আমরা আরো শক্তিশালী হব।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের সানা, সাদা, আমরান আল জাউফ ও মাগরিব প্রদেশে ৭১ টি বিমান হামলা করেছে ২৪ ঘন্টায়। শুধু সানার সানহানতেই আটটি বোমা বিস্ফোরণ করা হয়। এসব হামলায় একটি খামারে এক বেসামরিক আহত ও তিনজন নিহত হয়।
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট ইয়েমেন এখন কেবল একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ নয়, বরং মধ্যপ্রাচ্যের বড় ভূরাজনৈতিক খেলায় গুরুত্বপূর্ণ একটি খুঁটি হয়ে উঠেছে। চীন ও ইরানকে পিছনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে হুথিরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছে।
শেষ পর্যন্ত এই উত্তেজনা কোথায় গিয়ে থামবে এটা বলা মুশকিল, তবে এটা নিশ্চিত ইসরাইলের আকাশে ধেয়ে আসা মিসাইল কেবল ধাতব বস্তু নয় বরং মধ্যপ্রাচ্যের নতুন অস্থিতিশীলতা, প্রতিরোধ ও প্রতিশোধের বার্তা বহন করছে।
মায়মুনা