
ছবি: সংগৃহীত।
আজকের বিশ্বে ইসরাইলের কর্মকাণ্ড নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। একদিকে তারা নিজেদের শান্তির রক্ষাকারী দাবি করছে, অন্যদিকে তাদের কার্যকলাপ সেই দাবির বিপরীত চিত্রই তুলে ধরছে।
গণহত্যা, দখলদারিত্ব, শিশু হত্যা, আল-আকসা মসজিদে হামলা এবং মুসল্লিদের ওপর গুলি চালানোর মতো কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইসরাইল শান্তি নষ্ট করছে। গাজায় বোমার ধোঁয়া, ধ্বংসস্তূপ আর শিশুদের কান্না যেন নিত্যদিনের চিত্র হয়ে উঠেছে। ইসরাইল দাবি করছে, তারা সন্ত্রাস দমন ও নিরাপত্তার জন্য লড়াই করছে। তবে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, নিরীহ মানুষের ওপর হামলা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
ইসরাইলের আগ্রাসন শুধু গাজাতেই সীমাবদ্ধ নয়। ১৯৮২ সালে লেবাননে হামলা চালিয়ে হাজারো মানুষের মৃত্যু ঘটায় তারা। ১৯৮১ সালে সিরিয়ায় বিমান হামলা চালায় এবং ইরাকের পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংস করে। এমনকি সুদানেও গোপন অভিযান পরিচালনা করে, যা আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ।
এই কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছে এক করুণ ইতিহাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইহুদিরা ইউরোপে নিপীড়নের শিকার হয়ে ফিলিস্তিনে আশ্রয় নেয়। অথচ, সময়ের ব্যবধানে সেই আশ্রয় পরিণত হয় আগ্রাসনে। অকৃতজ্ঞ ইসরাইল নিজেদের আশ্রয়দাতাদেরই ভূমি থেকে উচ্ছেদ করেছে, রক্তপাত ঘটিয়েছে বারবার। জাতিসংঘের বহু রেজুলেশন উপেক্ষা করেও তারা নিজেদের শান্তির রক্ষক হিসেবে দাবি করে যাচ্ছে।
কিন্তু বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা। ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের ভেতরে শান্তির কোনো ছাপ নেই, বরং নিরীহ মানুষের রক্ত, কান্না আর ধ্বংসযজ্ঞ ছাড়া কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ফলে বিশ্বের চোখে ইসরাইল আজ এক বিশাল প্রশ্নবোধক চিহ্ন। তারা কি সত্যিই শান্তির জন্য কাজ করছে, নাকি শান্তির নামে নির্যাতন ও আগ্রাসন চালাচ্ছে? উত্তরটা হয়তো সবারই জানা।
নুসরাত