
ছবি: সংগৃহীত
আর তাদেরকে যখন বলা হয়, পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করিও না, তাহারা বলে আমরা তো শান্তি স্থাপনকারী। সাবধান, ইহারাই অশান্তি সৃষ্টি করে, কিন্তু ইজারা বুঝিতে পারে না। (সূরা আল বাকারা, আয়াত ১১-১২)
কোরআনের এই আয়াতের সাথে যেন মিলে যায় ইসরাইলিদের শান্তির নামে প্রহসন কার্যক্রম। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য নেতারা প্রায়ই বলে থাকেন আমরা শান্তিরক্ষাকারী। কিন্তু তারা যে কতোটা শান্তি বিনষ্টকার তা এখন স্পষ্ট পুরো বিশ্বের সামনে।
কোরাআনে আল্লাহ তাআলা যাদের কথা বলেছেন তাদের সাথে ইসরাইলের কর্মকান্ড মিলে যাচ্ছে হুবহু। ইসরাইলি নেতারা নিজেদেরকে শান্তিরক্ষী দাবি করলেও তাদের কাজ সত্যটা দেখিয়ে দেয়।
গণহত্যা, দখলদারিত্ব, শিশুহত্যা, আল কাঁকসা মসজিদে হামলা ও মুসল্লিদের উপরে গুলিবর্ষণ করে তারা শান্তি নষ্ট করছে। গাজায় বোমা, ধোঁয়া আর শিশুর কান্না যেন নিত্যদিনের সঙ্গী। ইসরাইল বলে তারা শান্তি ও ন্যায়ের জন্য লড়ছে। কিন্তু জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থাগুলো বলছে নির্বিচারে মানুষ হত্যা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
শুধু গাজা নয়, ১৯৮২ সালে লেবাননে হামলা করে হাজারো মানুষের মৃত্যু ঘটায়। সিরিয়ায় বিমান হামলায়, ১৯৮১ সালে ইরাকে পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংস এমনকি সুদানে গোপন অভিযান সবই তারা নিরাপত্তার নামে করেছে। যদিও আন্তর্জাতিক আইন এগুলোকে অবৈধ বলে।
এসব কর্মকাণ্ডের এক করুণ ইতিহাসও আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যখন ইহুদিরা ইউরোপের নিপীড়নের স্বীকার হয়ে আশ্রয় খুঁজছিল তখন ফিলিস্তিনিরা তাদের আশ্রয় দেয়। কিন্তু, সেই আশ্রয় পরবর্তীতে অস্ত্রে আর আগ্রাসনে রূপান্তরিত হয়ে কাল হয়ে দাঁড়ায়। অকৃতজ্ঞ ইসরাইল আশ্রয়দাতাদেরই ভূমি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে, রক্তপাত ঘটিয়েছে বারবার।
জাতিসংঘের রেজুলেশন বারবার অমান্য করেও নিজেকে শান্তিরক্ষী হিসেবে দাবি করেই যাচ্ছে। কিন্তু , শান্তির দাবির বিপরীতে তাদের হাতে নিরীহ মানুষের রক্ত, কান্না আর ধ্বংসের স্মৃতি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না।
বিশ্বের চোখে তাই ইসরাইল আজ এক বিরাট প্রশ্নবোধক চিহ্ন। তারা কি আসলেই শান্তির পক্ষে কাজ করছে নাকি শান্তির নামে নির্যাতন আর আগ্রাসন চালাচ্ছে? উত্তরটা হয়তো কারো অজানা নয়।
মায়মুনা