
ছবি: সংগৃহীত
আফগানিস্তান সীমান্তে পৃথক দুটি হামলায় পাকিস্তানের অন্তত আট সেনা নিহত হয়েছে। এ হামলায় একজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
শনিবার পুলিশ সূত্রে এএফপিকে জানানো হয়, উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে ‘সশস্ত্র জঙ্গিদের’ বিরুদ্ধে নিরাপত্তা অভিযানে সাত সেনা নিহত হয়েছে। জঙ্গিরা একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গুলি চালায়। এই ঘটনা কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে পরিণত হয়, যেখানে সেনাবাহিনী যুদ্ধ হেলিকপ্টারও মোতায়েন করে। সংঘর্ষে আট তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে এবং আরও ছয় সেনা আহত হয়েছে।
অপর এক ঘটনায় বেলুচিস্তান অঞ্চলের দক্ষিণে বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের একটি মোটরবাইকে রাখা বোমা বিস্ফোরণে এক সেনা ও একজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এর আগেও এই অঞ্চলে একটি ট্রেন আক্রমণের ঘটনা ঘটে, যেখানে জঙ্গিরা শত শত যাত্রীকে জিম্মি করে এবং এক ডজনেরও বেশি ‘অফ-ডিউটি’ সেনাকে হত্যা করে।
একই সময়ে গোয়াদর জেলার মধ্য দিয়ে একটি সামরিক গাড়ি চলার সময় বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন সেনা ও একজন বেসামরিক ব্যক্তি আহত হন। গোয়াদর অঞ্চলে চীনা অবকাঠামোর উপস্থিতি রয়েছে।
এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলায় ১৯০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) মার্চে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘বসন্ত অভিযান’ ঘোষণা করেছিল। ইসলামাবাদভিত্তিক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের মতে, গত বছর পাকিস্তানে প্রায় এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে রক্তাক্ত বছর ছিল, যেখানে হামলায় ১,৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। পাকিস্তানে এই সহিংসতা মূলত আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে সীমাবদ্ধ।
শিহাব