ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১

যে কারণে তিন শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করল ট্রাম্প

প্রকাশিত: ১৪:১৩, ২৯ মার্চ ২০২৫

যে কারণে তিন শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করল ট্রাম্প

ছবি: সংগৃহীত।

যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশগ্রহণের কারণে তিন শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার গায়ানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। শুক্রবার ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও বলেন, "আমরা প্রতিদিনই এ ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। যখনই এই উন্মাদদের (বিক্ষোভকারীদের) কাউকে শনাক্ত করছি, তাদের ভিসা বাতিল করছি।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, এভাবে ভিসা বাতিলের প্রক্রিয়া চলতে থাকলে একপর্যায়ে আর কোনো শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নিতে পারবে না।

রুবিওর মতে, বিদেশি শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষতি করছে। তিনি বলেন, "আমরা তাদের এই দেশে পড়াশোনার জন্য ভিসা দিয়েছি, সামাজিক আন্দোলনকর্মী হওয়ার জন্য নয় বা আমাদের ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য নয়।"

ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বিরোধিতা করা বিদেশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, বিশেষ করে যারা ইসরাইলবিরোধী মতামত প্রকাশ করছে। ইতোমধ্যে অনেকে গ্রেফতার ও জোরপূর্বক দেশে ফেরত পাঠানোর মুখোমুখি হয়েছেন।

রুবিও বলেন, "যদি কেউ আমাদের মিথ্যা বলে ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে এবং সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়, তাহলে আমরা তাদের ভিসা প্রত্যাহার করব।"

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকলেও ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করছে যে এটি বিদেশি নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য নয়। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ব্যাপক মতপার্থক্য রয়েছে।

সর্বশেষ ঘটনায়, ম্যাসাচুসেটসের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের তুর্কি ডক্টরাল শিক্ষার্থী রুমেইসা ওজতুর্ককে অভিবাসন কর্মকর্তারা তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছেন। তিনি ক্যাম্পাসের একটি পত্রিকায় গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নিবন্ধ লিখেছিলেন। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধমূলক অভিযোগ নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র দাবি করেছেন, রুমেইসা 'বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসকে সমর্থন' করার সঙ্গে যুক্ত। তবে ওই রাজ্যের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্য আয়ান্না প্রেসলি এ ঘটনাকে মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি রুমেইসাকে 'রাজনৈতিক বন্দি' হিসেবেও উল্লেখ করেন।

এর আগে, ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খালিল এবং ভারতের পোস্টডক্টরাল গবেষক বদর খান সুরিসহ আরও অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কোনো অপরাধমূলক অভিযোগ নেই, তবে আদালত সাময়িকভাবে তাদের ডিপোর্ট স্থগিত করেছে।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

সায়মা ইসলাম

×