
ছবি: সংগৃহীত
বন্ধুদের সাথে ইফতার করতে গেল মঙ্গলবার সামারভিলের বাসা থেকে বের হন রুমিসা ওস্তুর্ক। হঠাৎই তাকে ঘিরে ধরে বেশ কয়েকজন লোক। প্রত্যেকে ছিলেন মুখোশ পরিহিত। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় একজন তার হিজাব খোলারও চেষ্টা করেন।
এক পর্যায়ে, রুমিসাকে হাত পেছনে নিয়ে পড়ানো হয় হ্যান্ডকাফ। আশপাশ থেকে আসেন আরো কয়েকজন। এরপর এই শিক্ষার্থীকে তোলা হয় গাড়িতে। পরে জানানো হয় হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের কর্মকর্তারা তাকে গ্রেফতার করেছেন।
আটক হওয়া রুমিসা ওস্তুর্ক তুরস্ক থেকে আসা, টাফস ইউনিভার্সিটির পিএইচডি শিক্ষার্থী। গাজায় চলমান ইজরায়েলি তাণ্ডবের প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে এমন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। সাদা পোশাকে শিক্ষার্থীকে তুলৈ নেওয়ার ঘটনাকে ফ্যাসিস্ট আচরণ বলে আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। তাদের দাবি, রুমিসার দ্রুত মুক্তি। এরই মাঝে পিটিশন দাখিল করা হয়েছে আদালতে।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি সোচ্চার হওয়ায় ট্রাম্পের মেয়াদে এই প্রথম বারের মতো বোস্টন থেকে কোনো অভিবাসী শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হলো, বাতিল করা হয়েছে রুমিসার ভিসা।
এর আগে ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত মার্কিন শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকে গ্রেফতার করে ট্রাম্প প্রশাসন। তা নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রে চলে তোলপাড়।
মায়মুনা