
ছবি: সংগৃহীত
আরব বিশ্ব যখন এখনও ঘুমিয়ে সেখানে বেনি আমিন নেতানিয়াহুকে থামাতে সক্রিয় হলো ইরান ও তুরস্ক। নিরীহ ফিলিস্তিনিদের জীবন রক্ষায় ইরান বিভিন্ন ভাবে ইসরাইল ও আমেরিকা কে চারদিক থেকে শিক্ষা দিচ্ছে। কিন্তু এবার সরাসরি লড়াই করবেন ইরান। ইরানের সঙ্গে তবে কি যোগ দিতে চাচ্ছে তুরস্ক। সেই প্রত্যয় নিয়েই মাঠে নামছে দুই মুসলিম শক্তিধর রাষ্ট্র।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান বরাবরই ফিলিস্তিনের জনগণ ও ইরানের পক্ষ থেকে কথা বলেছেন। কিন্তু আরব বিশ্বের নিশ্চুপ অবস্থান নিয়ে আর বসে থাকতে চান না তিনি। তিনি আরব বিশ্ব তথা আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায়কে আন্দোলন ঠেঁকাতে আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার টেলিফোনে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির এবং তুরস্ক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের মধ্যে এই অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়। দু ‘দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ইসরাইলি আঘ্রাষণ ঠেঁকাতে দুদেশের তথা মুসলিম বিশ্বকে দ্রুত তড়িত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ সময় গাজা উপত্যকা,লেবানন, ইয়েমেন এবং সিরিয়ায় ইসরাইলি বর্বরতা এবং ইয়েমেনে আমেরিকার আঘ্রাষণ নিয়ে আলোচনা চলে।
সম্প্রতি কায়রোতে আরব এবং মুসলিম বিশ্বের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আলোচনার উদাহরণ টানেন তাঁরা। নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মুসলিম দেশগুলোকে এগিয়ে আসার জোর তাগিত দেন তাঁরা। ইয়েমেনে আমেরিকার হামলার ফলে এ অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরতে পারে বলে জানান ইরানের শীর্ষ কূটনৈতিক ব্যক্তি আব্বাস আরাগচি। মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আঞ্চালিক দেশগুলোকে আরও তৎপর হতে হবে বলে জানিয়েছেন এই দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ইরান যুদ্ধ চায় না তবে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত আছে।
মেহেদী হাসান