
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিশোধ নিতে তেলআবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের প্রতিরোধ বাহিনী। সোমবার রাতে ইয়াফা অঞ্চলের এই বিমানবন্দরে দুটি শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে হামলার দায় স্বীকার করেছে হুথি নেতৃত্বাধীন ইয়েমেনি যোদ্ধারা।
সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র জানান, নতুন সংযোজন হিসেবে এবার ‘প্যালেস্টাইন-টু’ হাইপারসনিক মিসাইল এবং ‘জুলফিকার’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। হামলার সময় বিমানবন্দরটিতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং তাৎক্ষণিকভাবে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করা হয়। নিরাপত্তার কারণে যাত্রীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এটি বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে তৃতীয় দফায় হামলা এবং গত ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বারের মতো ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দ্বারা পরিচালিত হামলা বলে জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।
এছাড়াও, লোহিত সাগরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানের জবাবে মার্কিন রণতরী ‘USS হ্যারিয়ে স্ট্রোম্যান’ ও তার সঙ্গী যুদ্ধজাহাজগুলোর দিকেও ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী।
ইয়েমেনের প্রতিরোধ বাহিনী জানিয়েছে, এসব অভিযান মূলত ফিলিস্তিনের প্রতি তাদের "ধর্মীয়, নৈতিক ও মানবিক দায়বদ্ধতা" থেকে পরিচালিত হচ্ছে। তারা আরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে, গাজা অবরোধ প্রত্যাহার ও আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা ইসরাইলি সমুদ্রপথ এবং কৌশলগত অবকাঠামো লক্ষ্য করে তাদের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী ‘USS কার্ল ভিনসন’ মোতায়েনের ঘোষণা দিলেও লোহিত সাগরে ক্রমাগত হামলার কারণে মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতি এখন চ্যালেঞ্জের মুখে।
মধ্যপ্রাচ্যের বিশ্লেষকরা বলছেন, ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের একের পর এক হামলা ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন কৌশলগত চাপ তৈরি করছে।
সূত্র : https://www.youtube.com/watch?v=i1uxTJ_Iciw
রাজু