
ছবি:সংগৃহীত
লোহিত সাগর বর্তমানে একটি গুরুতর নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন, যা আমেরিকানদের জন্য বড় বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলার ফলে, ইসরাইলের পৃষ্ঠপোষক যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। এই ঘটনার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এক বড় পরাজয় এবং বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা গাজায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞের প্রতিশোধ হিসেবে লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ এবং অন্যান্য শত্রু সামরিক নৌযানগুলোতে হামলা চালাচ্ছে। এর ফলে, যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ার্ল্ডস ঘোষণা করেছেন যে, বিপদ এড়াতে ৭৫ শতাংশ পণ্যবাহী জাহাজ এখন আফ্রিকার দক্ষিণ উপকূল ঘুরে চলাচল করবে, সুয়েজ খালের পরিবর্তে।
লোহিত সাগর, যা ভূমধ্যসাগর এবং ভারত মহাসাগরের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ, ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে সংক্ষিপ্ততম বাণিজ্যপথ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু ইয়েমেনের হামলার কারণে এই বাণিজ্যপথে ব্যাঘাত ঘটছে, যা পশ্চিমাদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গাজায় ইসরাইলের নির্বিচারে হামলার প্রতিবাদে, ইয়েমেন লোহিত সাগরে ইসরাইল সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে হামলা শুরু করে।
এই হামলার ফলে, লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে ভিন্ন নৌপথ ব্যবহার করতে বাধ্য করা হচ্ছে। এতে বিশ্ব বাণিজ্য ও অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং ব্যবসায়ীরা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর ইয়েমেনের বিরুদ্ধে বড় পরিসরে হামলা চালানোর নির্দেশ দেন। তিনি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে ইয়েমেনের উপর হামলা বন্ধ করার জন্য সতর্কতা দেন, অন্যথায় আরও ভয়াবহ প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে জানান।
এই সংঘর্ষ এবং তার প্রভাব লোহিত সাগরের বাণিজ্যপথে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং অর্থনীতির জন্য এক বড় সংকটের ইঙ্গিত দেয়।
আঁখি