ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১

গাজার নাসের হাসপাতাল বোমা হামলা চালিয়ে সিনিয়র হামাস নেতাকে হত্যা

প্রকাশিত: ০৭:৪৮, ২৪ মার্চ ২০২৫

গাজার নাসের হাসপাতাল বোমা হামলা চালিয়ে সিনিয়র হামাস নেতাকে হত্যা

 

ইসরাইলি বিমান হামলা গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালকে লক্ষ্য করে, যেখানে পাঁচজন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে সিনিয়র হামাস রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল বারহৌমও ছিলেন। এই হামলা ইসরাইল ও হামাসের চলমান সংঘাতের আরেকটি বড় উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মতে, হামলাটি নির্ভুল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চালানো হয়েছিল এবং এর লক্ষ্য ছিল একজন উচ্চপদস্থ হামাস কর্মকর্তাকে নির্মূল করা, যাতে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা কম রাখা যায়। তবে, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, হাসপাতালে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, যা ইতোমধ্যে সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে থাকা গাজার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরও চাপের মুখে ফেলেছে।

হামাস বারহৌমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। হামাসের এক মুখপাত্র বলেন, "এই অপরাধের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।"

গাজার দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম চিকিৎসা কেন্দ্র নাসের হাসপাতাল, যেখানে হাজার হাজার আহত বেসামরিক নাগরিক চিকিৎসার জন্য নির্ভরশীল। ইসরাইলি বিমান ও স্থল অভিযানের তীব্রতার ফলে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০,০০০-এর বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়াগুলো মিশ্র হয়েছে। জাতিসংঘ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে এবং গাজায় অবাধ মানবিক সহায়তার প্রবাহ নিশ্চিত করার দাবি করেছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে, তবে বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু না করার আহ্বান জানিয়েছে।

যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় গাজায় মানবিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে। সাহায্য সংস্থাগুলো জানিয়েছে, হাসপাতালগুলো ক্রমশ অকেজো হয়ে পড়ছে এবং খাদ্য, ওষুধ ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে।

এই সাম্প্রতিক হামলা সংঘাতের অস্থিতিশীল প্রকৃতিকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে, যেখানে উভয় পক্ষই আপাতত পিছু হটার কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছে না। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলমান থাকলেও, গাজার সাধারণ মানুষ ক্রমাগত গোলাগুলির মধ্যে পড়ে, যা সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকটের সৃষ্টি করেছে।

সাজিদ

×