
ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মাঝে সম্ভাব্য আংশিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা নিয়ে আলোচনার জন্য সৌদি আরবে আবারও বৈঠকে বসছেন ইউক্রেনীয় ও মার্কিন কর্মকর্তারা। আগামী রোববার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত হতে পারে ওই বৈঠক বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ অবসানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে রোববার সৌদিতে বৈঠকে বসবেন ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রুশ প্রতিনিধিদের মাঝে সোমবারের জন্য নির্ধারিত আলোচনার আগে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে সৌদি আরবে প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া এবং পরবর্তীতে ওয়াশিংটন ও কিয়েভের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ফের আলোচনায় বসছেন দুই দেশের কর্মকর্তারা। আগের বৈঠকে প্রাথমিকভাবে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব মেনে নেয় ইউক্রেন।
রিয়াদে রোববারের বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ। এর আগে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, এই বৈঠক কিয়েভকে ‘‘খুব দ্রুত এবং অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ’’ উপায়ে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দেবে। তবে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা এখনও রিয়াদে রোববারের বৈঠককে একেবারে কৌশলগত হিসাবে দেখছেন।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হেওরি টাইখি শুক্রবার বলেছেন, ইউক্রেনীয় ও আমেরিকান পক্ষ যুদ্ধবিরতির পদ্ধতিগুলো স্পষ্ট করা, সম্ভাব্য বিভিন্ন যুদ্ধবিরতি চুক্তির সংক্ষিপ্তসার ও কীভাবে সেই চুক্তি পর্যবেক্ষণও নিয়ন্ত্রণ করা হয়, সাধারণভাবে সেগুলোই পর্যালোচনা করবেন।
গত মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৩০ দিনের জন্য রাশিয়া-ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধ করার বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া প্রস্তাবে সম্মত হন। ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনার পরপরই ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা বন্ধে রুশ সামরিক বাহিনীকে নির্দেশও দেন পুতিন।
সূত্র: রয়টার্স
সজিব