ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১

অভিবাসন নীতির শিকার ট্রাম্প সমর্থকের স্ত্রী, তবু ভোট নিয়ে অনুশোচনা নেই

প্রকাশিত: ০১:৩৬, ২৪ মার্চ ২০২৫

অভিবাসন নীতির শিকার ট্রাম্প সমর্থকের স্ত্রী, তবু ভোট নিয়ে অনুশোচনা নেই

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক সমর্থকের স্ত্রীকে অভিবাসন সংক্রান্ত কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে স্বামী ব্র্যাডলি বার্টেল জানিয়েছেন, তিনি ট্রাম্পকে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্তে অনুশোচনা করেন না।

বার্টেলের স্ত্রী, পেরুর নাগরিক ক্যামিলা মুনোজ, ২০১৯ সালে একটি ওয়ার্ক-স্টাডি ভিসায় উইসকনসিন ডেলসে আসেন। তবে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তিনি যুক্তরাষ্ট্রে থেকে যান এবং স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার প্রক্রিয়ায় ছিলেন।

সম্প্রতি, দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর, দম্পতি তাদের হানিমুনের জন্য পুয়ের্তো রিকো ভ্রমণ করেন। কিন্তু ফেরার সময় অভিবাসন কর্মকর্তারা মুনোজকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং গ্রেফতার করেন। বর্তমানে তিনি লুইজিয়ানার একটি আইসিই (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি আছেন।

বার্টেল বলেন, "পুরো ব্যাপারটাই দুঃস্বপ্নের মতো। আমরা একজন আইনজীবী নিয়োগ করেছি, কিন্তু সিস্টেমটি খুবই অদক্ষ, তাই সবকিছু স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় নিচ্ছে।"

ব্র্যাডলি বার্টেল যদিও তার স্ত্রীর গ্রেফতারে শোকাহত, তবুও তিনি ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকে দোষ দিচ্ছেন না। তার মতে, "ট্রাম্প এই সিস্টেম তৈরি করেননি, কিন্তু তিনি এটি উন্নত করার সুযোগ পেয়েছেন। আশা করি, এই ঘটনা সিস্টেমের ত্রুটিগুলো সামনে আনবে।"

তবে সামাজিক মাধ্যমে তাকে ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির সমর্থক হওয়ার ফল তিনি নিজেই ভোগ করছেন।

ট্রাম্প প্রশাসন বড় পরিসরে অভিবাসী বহিষ্কারের পরিকল্পনা নিয়েছে, বিশেষত অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে। তবে বাস্তবে, অনেক আইন অনুসরণকারী অভিবাসীও এই অভিযানের শিকার হচ্ছেন বলে সমালোচকরা মনে করছেন।

বার্টেল জানান, যদি তার স্ত্রীকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়, তবে তিনি পেরুতে যাওয়ার কথা ভাবছেন। তবে তার সন্তান থাকায় এটি কঠিন সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান তিনি।

বার্টেলের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সম্প্রতি, নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকেও তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার গর্ভবতী স্ত্রী এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন।

এছাড়া, জানুয়ারি থেকে মার্কিন সরকার ৩৮৮ জন ভারতীয় অভিবাসীকে বহিষ্কার করেছে, যার মধ্যে ফেব্রুয়ারিতে তিনটি সামরিক বিমানে ৩৩৩ জনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

এই ধরনের ঘটনার কারণে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ তীব্র হচ্ছে।

সূত্র : https://www.ndtv.com/world-news/us-man-does-not-regret-voting-for-trump-even-after-wife-was-arrested-by-immigration-authorities-7991079#pfrom=home-ndtv_topstories

রিফাত

×