
জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রকৃতি রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি করতে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় আর্থ আওয়ার। এবারের আয়োজনেও এক ঘণ্টার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অন্ধকারে ডুবেছিল।
২০০৭ সালে প্রথম শুরু হওয়া এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রতি বছর জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রকৃতি রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। এই বছর ২২ মার্চ রাতে স্থানীয় সময় শনিবার, গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের ঐতিহাসিক অ্যাক্রোপলিসসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাতি নিভিয়ে দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয় বিভিন্ন হোটেল, পার্লামেন্ট ভবন এবং উত্তরাঞ্চলের হোয়াইট টাওয়ারের আলো।এছাড়া, ভারত, হংকং, তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র, পর্তুগাল, অস্ট্রেলিয়া সহ আরও অনেক দেশ এই উদ্যোগে অংশ নেয়। অস্ট্রেলিয়ার অপেরা হাউসের বাতি নিভিয়ে এবং ফ্রান্সের প্যারিস, যুক্তরাজ্যের লন্ডন, ভ্যাটিকান সিটির মতো শহরেও এই উদ্যোগ পালন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের বাইরের সব বাতি নিভিয়ে আর্থ আওয়ারে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়।
এবারের আয়োজনে জাপান এবং হংকংও অংশ নেয়। টোকিও টাওয়ার এবং ভিক্টোরিয়া হারবারের বাতি নিভিয়ে তারা সমর্থন জানায়। অন্যদিকে, তাইওয়ানও ঐতিহ্যবাহী ওয়ান-ও-ওয়ান ভবনের বাতি নিভিয়ে এবং পর্তুগালের লিসবনে বিভিন্ন সরকারি ভবনের আলো নিভিয়ে আর্থ আওয়ার পালন করে।
এছাড়া, ভারতে নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবন, ইন্ডিয়া গেট, কুতুব মিনার, কলকাতার হাওড়া ব্রিজ, মুম্বাইয়ের মতো শহরেও এক ঘণ্টার জন্য অন্ধকারে ডুবেছিল।
আরথ আওয়ার ২০০৭ সালে সিডনিতে শুরু হলেও এখন এটি বিশ্বের ১৯০টি দেশে পালিত হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ এতে অংশ নিয়ে পরিবেশ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছে।
রাজু