
ছবিঃ সংগৃহীত
লেবানন থেকে ছোড়া রকেট প্রতিহত করার পর ইসরায়েল শনিবার (২২ মার্চ) দক্ষিণ লেবাননে তোপ হামলা ও বিমান হামলা চালায়। এতে ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে চলমান নাজুক অস্ত্রবিরতি হুমকির মুখে পড়ে।
গত বছরের গাজা যুদ্ধের সময় এই সংঘাত সীমান্তজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল, যা পরে ইসরায়েলের প্রবল সামরিক অভিযানের ফলে হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার, বহু যোদ্ধা ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস করে দেয়।
শনিবারের হামলার দায় অস্বীকার করেছে হিজবুল্লাহ। তারা জানায়, এই রকেট হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং তারা অস্ত্রবিরতি মেনে চলছে। এখনও পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী রকেট হামলার দায় স্বীকার করেনি।
ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা জানান, হামলাকারী গোষ্ঠীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ছয়টি রকেট ছোড়া হয়, যার মধ্যে তিনটি ইসরায়েলের দিকে প্রবেশ করেছিল, তবে সেগুলো প্রতিহত করা হয়।
এই হামলা এমন এক সময় ঘটল, যখন ইসরায়েল গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে অস্ত্রবিরতি কার্যত বাতিল করে দিয়েছে। হামাস হিজবুল্লাহর মিত্র এবং উভয় গোষ্ঠীই ইরানের সমর্থনপুষ্ট।
শনিবার ভোরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, লেবাননের সীমান্ত থেকে ছয় কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত এক অঞ্চল থেকে ইসরায়েলের মেতুলা শহরের দিকে রকেট নিক্ষেপ করা হয়। এটি গত নভেম্বরের মার্কিন-সমর্থিত অস্ত্রবিরতির পর দ্বিতীয়বারের মতো এ ধরনের হামলা।
প্রতিশোধ হিসেবে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সামরিক বাহিনীকে "লেবাননে সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে কঠোর হামলার" নির্দেশ দেন।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, তারা দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর একাধিক রকেট লঞ্চার এবং একটি কমান্ড সেন্টার ধ্বংস করেছে।
সূত্রঃ রয়টার্স
ইমরান