
ইসরাইলি হামলায় গাজার খান ইউনিসের ধ্বংস হওয়া আবাসিক ভবনগুলো
ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে গাজার অতিরিক্ত এলাকা দখলে নিতে প্রস্তুত থাকতে বলেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ। শনিবার তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, হামাস যদি যুদ্ধবিরতির চুক্তি না মানে এবং জিম্মিদের মুক্তি না দেয় তাহলে এখনই এক অংশ দখলে করে নেবেন তারা। খবর আলজাজিরার।
ইসরাইল কাটজ বলেন, সব জিম্মি জীবিত ও মৃত উভয় ফিরে না আসা পর্যন্ত সামরিক বাহিনী গাজায় স্থল অভিযান চালিয়ে যাবে। হামাস জিম্মিদের মুক্তি দিতে যত বেশি দেরি করবে, আমরা তত বেশি গাজার ভূখণ্ড দখলে নেব। প্রতিবেদনে বলা হয়, কাটজ সেনাবাহিনীকে গাজায় অতিরিক্ত এলাকা দখল, জনগণকে সরিয়ে নেয়া এবং ইসরাইলি সম্প্রদায় ও সেনাদের সুরক্ষার জন্য গাজার চারপাশে নিরাপত্তা অঞ্চল সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। গাজায় এখনো ৫৯ জিম্মি রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ২৪ জন জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। এদিকে ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গাজার একমাত্র ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র। নেটজারিম করিডোরের কাছে অবস্থিত এই হাসপাতালটি ইসরাইলি বাহিনী তাদের পূর্ববর্তী আক্রমণের সময় একটি কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করত। অন্যদিকে গাজার দক্ষিণে হামাসের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান ওসামা তাবাশকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে নেতানিয়াহুর সেনারা। এছাড়া হামাসের নজরদারি ও লক্ষ্যস্থিরকারী ইউনিটকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে বলে জানায় তারা। এদিকে গাজায় অবিলম্বে হামলা বন্ধ করে আলোচনায় ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে থাইল্যান্ড। শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ড সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন, শত্রুতা বন্ধ এবং যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আলোচনা পুনরায় শুরু করার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে হামাসের হাতে বন্দি থাকা বাকি থাই নাগরিকের মুক্তি এবং আরও দুজনের মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এর আগে জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্য গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি পুনর্বহালের দাবি জানায়। এছাড়া ইসরাইলকে মানবিক সাহায্য পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেয়ার জন্য একটি যৌথ বিবৃতি জারি করে। যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত মঙ্গলবার থেকে গাজায় ফের হামলা শুরু করে ইসরাইল। ইসরাইলের কয়েকদিনের তীব্র হামলায় অন্তত ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন। যাদের মধ্যে ২০০ জন শিশু।