
ছবি: সংগৃহীত
সিরিয়ায় দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধের পর অবশেষে কার্যকর হলো নতুন শাসন ব্যবস্থা। অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা স্বাক্ষর করলেন এক নতুন সংবিধানে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য দেশটি পরিচালিত হবে ইসলামি শাসনের অধীনে।
গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সিরিয়ার নতুন অন্তর্বর্তী সংবিধানের খসড়ায় স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। পুরনো সংবিধান বাতিল করে ইসলামি আইনকে নির্ধারণ করা হয়েছে রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি হিসেবে।
নতুন সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপ্রধান হতে হলে অবশ্যই মুসলিম হতে হবে ও শরিয়াহ আইনকে ব্যবহার করা হবে আইন প্রণয়নের মূল উৎস হিসেবে।
নতুন শাসন ব্যবস্থার এই ঘোষণা নিয়ে সিরিয়া ও আন্তর্জাতিক মহলে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার। সমালোচকরা বলছেন, এটি তাড়াহুড়ো করে নেয়া সিদ্ধান্ত, যেখানে সিরিয়ার বিভিন্ন জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মতামত যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, এই পরিবর্তন সিরিয়ার ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বিভাজন আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। অন্যদিকে তুরস্কের মারদিন আরতুকলু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবিধানিক আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা রাখা হয়েছে। রাজনৈতিক ভারসাম্য আনায়নে তা সহায়ক হবে।
সিরিয়ার এই নতুন সংবিধান কার্যকর থাকবে পাঁচ বছর। তবে প্রেসিডেন্ট শারা ইতোমধ্যেই জানিয়েছেন, নতুন সংবিধান প্রণয়নে তিন বছর ও নির্বাচন আয়োজনে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে ।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=cPM3MZx_ZfE
রাকিব