
ছবি:সংগৃহীত
ইরানের চারপাশে শত্রুদের উপস্থিতি এবং সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে লোহিত সাগর থেকে ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত অঞ্চলটি ইরানের জন্য ক্রমশ অনিরাপদ হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক টহল জোরদার করেছে এবং আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে নিয়োজিত রয়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের দিকে কঠোর দৃষ্টি দিয়েছেন এবং ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীকে একটি চিঠিতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের হাতে মাত্র দুই মাস সময় আছে আলোচনার টেবিলে আসার, অন্যথা ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
তবে আয়াতুল্লাহ খামেনী ট্রাম্পের এই আল্টিমেটাম মানতে নারাজ। তিনি বলেছেন, আমেরিকার সাথে আলোচনায় বসা মানে তাদের চাহিদা ও দাবি মেনে নেওয়া, যা ইরানের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। খামেনী ইরান সরকারকেও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কোনো ধরনের আলোচনায় না বসার জন্য সতর্ক করেছেন। জুমার নামাজের খুতবায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে হুমকির ভাষা ব্যবহার না করতে এবং কোনো জঘন্য কাজ করলে তারা এর কঠোর জবাব পাবে। তিনি আরও বলেন, আমেরিকানরা ইরানের সাথে মোকাবিলায় হুমকি ব্যবহার করে কখনোই তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না।
খামেনী ইরানের শত্রুদের হুমকি ও জঘন্য আচরণের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন। তিনি ইরানের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি ও লেবাননের যোদ্ধাদের সমর্থন করার কথাও জানিয়েছেন। তিনি প্রতিরোধ ফ্রন্টকে ইরানি প্রক্সি হিসেবে চিত্রিত করার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ইরানের কোনো প্রক্সি শক্তি নেই, তবে তারা এই অঞ্চলের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সমর্থন করে। খামেনীর মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কর্মকর্তারা যখন এই অঞ্চলের প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে ইরানি প্রক্সি বলে অভিহিত করেন, তখন তারা একটি বড় ভুল করেন। তিনি বলেন, ইয়েমেনের জনগণ তাদের নিজেদের অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিরোধ করছে, ইরানের প্রক্সি হিসেবে নয়।
এই পরিস্থিতিতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ইরান তার অবস্থান থেকে সরে আসার কোনো ইচ্ছা না দেখালে এই সংঘাত আরও তীব্র হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।
আঁখি