
ছবি: সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির মঞ্চ যেন এক উত্তপ্ত দাবানল, যার আগুন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বজুড়ে। এবার এই রাজনীতির মঞ্চের দুই অন্যতম মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সম্পর্কেই দেখা দিয়েছে টানাপোড়েন।
দীর্ঘদিন ধরে মিত্র ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করলেও এবার আপত্তি উপেক্ষা করে গোপনে হামাসের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তাতেই তোলপাড় পুরো বিশ্ব।
সম্প্রতি কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের জিম্মি বিষয়ক দূত অ্যাডাম বোহলার কথা বলেন হামাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। মূল লক্ষ্য ছিল একজন জীবিত মার্কিন সেনা ও চারটি মৃতদেহ হস্তান্তর। তবে হামাস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা এর বিনিময়ে মুক্তি চায় শত শত ফিলিস্তিনি বন্দির।
এই বৈঠকের খবর ছড়িয়ে পড়লে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ইসরায়েলি গণমাধ্যমে। এ নিয়ে ইসরাইলের অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কেননা তারা হামাসের সঙ্গে যে কোনো আলোচনার ঘোর বিরোধী।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও কঠিন জবাব দিয়েছেন অ্যাডাম বোহলার। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের এজেন্ট নয়, বরং তারা নিজেদের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেয়। ইসরায়েলের অনুমতি নেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
এই মন্তব্য ইসরায়েলি প্রশাসনের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছে হতাশা। টাইমস অফ ইসরায়েল জানিয়েছে, মার্কিন দূতের বক্তব্য শুনে বিস্মিত হয়েছেন অনেক ইসরায়েলি কর্মকর্তা। কারণ দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবেই দেখে আসছে।
অন্যদিকে হামাসের সঙ্গে এই আলোচনার ফলে গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নতুন মোড় আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন, হামাস শেষ পর্যন্ত অস্ত্র ও রাজনৈতিক ক্ষমতা ত্যাগ করবে এবং জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চুক্তিতে আসবে।
তবে আলোচনার বিপক্ষে শক্ত অবস্থানে রয়েছে ইসরায়েল। কারণ তারা হামাসের সঙ্গে যে কোনো সমঝোতাকে দুর্বলতার লক্ষণ মনে করে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=E69VrMqi8rg
রাকিব