
প্রতীকী ছবি
গত ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় আবারও নির্মমতা চালাচ্ছে ইসরায়েল। বোমার পর বোমা পড়ছে, শত শত মানুষ মরছে, দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। তবুও হুঁশ নেই বিশ্বমানবতার। বিশ্বের প্রভাবশালী নেতারাও যেন কিছুই দেখছেন না।
যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিচ্ছে ভারি ভারি বোমা, যা গাজায় ছুড়ে দেয়া হচ্ছে নির্বিচারে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন সমর্থন অস্বাভাবিক নয়, তবে সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডানের মত মুসলিম দেশগুলোও প্রায় চুপ, যা অবাক হওয়ার মতো বিষয়। নিন্দা ছাড়া ইসরায়েলকে ঠেকানোর মতো কোনো কার্যকর ব্যবস্থাই নিচ্ছে না তারা।
তবে দরিদ্র দেশ হলেও ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা বসে নেই। তারা গাজায় চালানো ইসরয়েলি নৃশংসতার বিরুদ্ধে আবারও অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে। এবারও লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রকে অস্থির করে তুলেছে হুথিরা। মার্কিন সেনাদের সাথেও তারা চোখে চোখ রেখে লড়ছে।
ইয়েমেনে চলমান মার্কিন হামলার মধ্যেও হাল ছাড়ছে না হুথিরা। তারা বলছে, এই ইসরায়েলি আগ্রাসনের তারা শেষ দেখে ছাড়বে। ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট তেল আবিবের ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মিসাইল হামলা চালিয়েছে। এই হামলায় তারা প্যালেস্টাইন-২ হাইপারসোনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
তাদের হামলা সফল হয়েছে বলেও সারি দাবি করেছেন। এছাড়া, তিনি আরও বলেন, 'ইয়েমেনের বিরুদ্ধে চলমান আমেরিকান আগ্রাসন ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী কার্যকরভাবে মোকাবেলা করেছে।'
ইয়েমেনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ঘোষণা করেছেন, 'গাজার জনগণের বিরুদ্ধে চালানো ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিক্রিয়ায় তারা হামলা অব্যাহত রাখবে। কোনোভাবেই তারা ইসরায়েল ও তার মার্কিন মিত্রদের ছাড় দেবে না। গোটা বিশ্ব চুপ করে বসে থাকলেও তারা চুপ থাকবে না।'
তিনি আরও নিশ্চিত করেছেন, মার্কিন বিমান হামলা এবং হামলার পরিমাণ বৃদ্ধি কখনোই ইয়েমেনকে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি নৈতিক দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে পারবে না। ইয়েমেনের বিরুদ্ধে রক্তাক্ত আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই হামলা চলবে। ফিলিস্তিনিদের ওপর থেকে অবরোধ সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী লোহিত ও আরব সাগরে ইসরায়েলি সংযুক্ত জাহাজগুলোতে হামলা অব্যাহত রাখবে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=tCBMko8JLfg
রাকিব