
ছবি:সংগৃহীত
সম্প্রতি ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের হামলায় ক্ষুব্ধ হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীকে একটি কঠোর হুশিয়ারি সম্বলিত চিঠি পাঠিয়েছেন।
ট্রাম্পের মতে, হুতি গোষ্ঠীর হামলার পেছনে ইরানের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এই চিঠিতে তিনি ইরানকে দুই মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছেন, যার মধ্যে ইরানকে পরমাণু চুক্তিতে ফিরে আসতে হবে। যদি ইরান এই সময়সীমার মধ্যে চুক্তিতে সম্মত না হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরাইলের সামরিক হস্তক্ষেপের ঝুঁকি বাড়তে পারে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।
চিঠিটি পাঠানোর পর থেকে দুই মাসের সময়সীমা গণনা করা হবে কি না, তা নিয়ে এখনও স্পষ্টতা নেই। তবে ট্রাম্পের বক্তব্যে এক ধরনের চরম সতর্কতা লক্ষ্য করা গেছে। তিনি বলেছেন, যদি ইরান পরমাণু কর্মসূচি অব্যাহত রাখে এবং প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে সামরিক হামলা হতে পারে।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বর্তমানে অনেক উন্নত। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ইরান এখন ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে, যা পরমাণু বোমা তৈরির জন্য পর্যাপ্ত। যদিও ইরান দাবি করে আসছে যে তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করছে না, তবুও যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ বেড়েছে।
ট্রাম্প এই সপ্তাহে ফক্স নিউজের সাথে এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি সরাসরি ইরানের নেতাকে চিঠি পাঠিয়েছেন এবং পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে ইরান ট্রাম্পের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনী ট্রাম্পের প্রস্তাবকে প্রতারণা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ইরানের মিশন জাতিসংঘে এক বিবৃতিতে জানায়, যদি আলোচনা ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে হয়, তবে তা বিবেচনাযোগ্য হতে পারে। তবে পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আলোচনা কখনোই হবে না।
এছাড়া, ট্রাম্প সতর্ক করেছেন যে, যদি ইরান ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের মাধ্যমে আরও হামলা চালায়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তা ইরান থেকে আসছে বলে মনে করবে এবং ইরানকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। এই উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ার্ল্ডস বলেছেন, ইরানকে তার পরমাণু কর্মসূচির সব উপাদান ত্যাগ করতে হবে, অন্যথায় তারা বিভিন্ন পরিণতির মুখোমুখি হতে পারে।
আঁখি