
ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক সুখ দিবস উপলক্ষে প্রকাশিত হয়েছে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৫। টানা অষ্টমবার সবচেয়ে সুখী দেশের খেতাব পেল ফিনল্যান্ড। আর সবচেয়ে নিচে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান।
ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৫, মোট ১৪৭টি দেশের উপর জরিপ চালিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ব্যক্তিগত মূল্যায়নের পাশাপাশি দেশগুলোর আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নেওয়া হয়।
মাথাপিছু জিডিপি, সামাজিক সহায়তা, সুস্বাস্থ্যের প্রত্যাশা, স্বাধীনতা, উদারতা এবং দুর্নীতির মাত্রার মতো সূচকগুলোকে মানদণ্ড হিসেবে ধরে তালিকা তৈরি করা হয়। শুধু তাই নয়, মানুষের কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারা সুখী কিনা? র্যাংকিং নির্ধারণে পরপর তিন বছরের গড় ফলাফলকে বিবেচনা করা হয়।
প্রথম স্থানে আছে ফিনল্যান্ড। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক। এরপর যথাক্রমে আইসল্যান্ড ও সুইডেন। পঞ্চম অবস্থানে উঠে এসেছে নেদারল্যান্ডস।
ফিনল্যান্ডের মানুষের জীবনযাপনের সন্তুষ্টির হার ১০-এর মধ্যে ৭.৭৫। কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে তাদের জিডিপি বণ্টনের হারে সমতা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার কারণে তারা দীর্ঘায়ু পাচ্ছে।
সামাজিক সহায়তা, কমিউনিটির সদস্যদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও ভরসার মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।
এবারও পিছিয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। গত বছরের তুলনায় পাঁচ ধাপ নেমে দাঁড়িয়েছে ১৩৪তম স্থানে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ আরও পিছিয়ে পড়েছে।
শীর্ষ দশে যুক্তরাষ্ট্রের জায়গা হয়নি। গত বছর প্রথমবারের মতো টপ ২০ থেকে ছিটকে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবার আরও এক ধাপ নিচে নেমে ২৪তম অবস্থানে। সুখী দেশের তালিকার সবচেয়ে নিচে রয়েছে তালেবান-শাসিত আফগানিস্তান।
তিন ধাপ নেমে সুখী দেশের তালিকায় আগ্রাসী ইসরায়েলের অবস্থান ১০৮তম। বিধ্বস্ত ফিলিস্তিন রয়েছে ১১৮ নম্বরে।
জাতিসংঘের সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বা টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যের অংশ হিসেবে তৈরি করা হয় এই প্রতিবেদন।
শিলা ইসলাম