
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের ক্রমবর্ধমান ও বিতর্কিত তথাকথিত 'গডম্যান' বা 'গুরু'দের সংস্কৃতিতে জনপ্রিয়তা পাওয়া অল্প কয়েকজন নারীদের মধ্য একজন রাধে মা। লোকমুখে শোনা যায়, তার কথিত ক্ষমতাগুলো হলো নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তান জন্মদানে সক্ষম করা, অসুস্থকে সুস্থ করে তোলা আর ধ্বংস হতে থাকা ব্যবসা চাঙ্গা করে তোলা।
খুবই সাদাসিধেভাবে শুরু, সেখান থেকে এখন গড়েছেন মুম্বাইয়ে বিলাসবহুল বাড়ি। জানা যায়, তাকে সবচেয়ে বেশি দান করে ধনী ব্যবসায়ীরা। আর তার পরিবারের সদস্যরা তার সবচেয়ে বড় ভক্ত। যে গ্রামে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা, সেখানকার মানুষ তার অলৌকিক ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। অবশ্য এদের অধিকাংশ তার থেকে মাসিক ভাতা পান।
নিজেকে 'রাধে মা' বলে পরিচয় দেয়া এই নারী দান থেকে কত টাকা আয় করেন, তা কেউ জানে না। তার পুত্রবধূ জানান, দানের অর্থ একটি দাতব্যশালায় দেয়া হয় ও যাদের প্রয়োজন, তাদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
তিনি আরও জানান, 'রাধে মা জমকালো পোশাক পরে সাজগোজ করতে খুব পছন্দ করেন। আমরাও তাকে ওভাবে দেখতো পছন্দ করি।'
তথাকথিত ‘ঈশ্বর প্রেরিত' এই নারী বলেন, 'আমার আশীর্বাদ ও অলৌকিকতার জন্য যারা প্রার্থনা করে, তারা তা পায়। আমি আসলে অলৌকিক মাতা। আমার কপালে একটা পয়েন্ট আছে। যখন কোনো ভক্ত মন থেকে শ্রদ্ধা নিয়ে আসে, সেখানে টিংলিং, টিংলিং অনুভূতি হয়।'
স্থানীয় এক নারী কিছুটা আতঙ্ক নিয়ে জানান, 'তার সম্পর্কে কিছুই বলতে পারবো না। কারণ তাহলে আমাদের ক্ষতি হতে পারে। তার জন্য প্রদীপ না জ্বালালে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।' ভক্তদের এমন বিশ্বাসের পেছনে একধরনের চাপা আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। তারা নিজেদের অবিশ্বাসী বা অনুপযুক্ত হিসেবে দেখতে চায় না।
সমালোচকরা দাবি করেন, ধর্মীয় গুরুরা কৌশলে মানুষের এই মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে থাকেন।
সূত্র: বিবিসি
রাকিব