
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের ক্ষমতায় থাকার জন্য জনগণকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার জন্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছেন। শেখ হাসিনা যেমন উন্নয়ন ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছেন, তেমনি মোদি ভারতের জনগণকে মিথ্যাচার দিয়ে বোকা বানাচ্ছেন। তবে, একদিন সত্য সামনে চলে আসেই, যেমন শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনগণ তার চালাকি ধরতে পেরেছে, ঠিক তেমনি মোদির চুরিও ধরা পড়েছে।
মোদির চুরি ধরার ঘটনা ঘটেছে ইলন মাস্ক এবং তার গ্রোক থ্রি এআই চ্যাটবোর্ডের মাধ্যমে। গ্রোক থ্রি মোদিকে কেন্দ্র করে একাধিক গোপন তথ্য প্রকাশ করছে যা ভারতের রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে, মোদি ইলন মাস্কের কোম্পানি থেকে গ্রোক থ্রি চ্যাটবোর্ড নিয়েছেন, যা চীনের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সমীকরণের মাঝে ভারতের অবস্থান এবং মোদির ব্যক্তিগত তথ্যগুলো ফাঁস করছে।
গ্রোক থ্রি এর তথ্য অনুসারে, মোদি ভারতের সবচেয়ে বড় সাম্প্রদায়িক নেতা হিসেবে পরিচিত। এটি ভারতের জনগণের কাছে এমন একটি বিষয় প্রকাশ করছে যা এতদিন অজানা ছিল। এমনকি মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও গ্রোক থ্রি এক অস্বস্তিকর তথ্য দিয়েছে। ২০১২ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছিল যে মোদি বিএ পাস ডিগ্রি অর্জন করেছেন, কিন্তু গ্রোক থ্রি দাবি করছে যে মোদি তার ডিগ্রি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্কে জড়িয়েছেন এবং উনি এর সত্যতা নিয়ে ভয় পান।
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস এবং তার আইটি সেলের নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাথ এ ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন, এবং দাবি করেছেন যে মোদির উপর এমন তথ্য প্রকাশের পর তাদের দলকে এই বিষয়ে আরো তদন্ত চালাতে হবে। তবে, বিজেপি নেতারা গ্রোক থ্রি এর তথ্যকে ফেক নিউজ হিসেবে দাবি করছেন, কিন্তু গ্রোক থ্রি পুরোপুরি গবেষণার ভিত্তিতে এই তথ্য সরবরাহ করছে।
এদিকে, গ্রোক থ্রি জানাচ্ছে যে মোদির ১০ কোটি টুইটার ফলোয়ারের মধ্যে ৬০ শতাংশ ফেক, যা মোদির জনপ্রিয়তার ধারাকে চ্যালেঞ্জ করছে। এই তথ্য ভারতীয় রাজনীতির ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, কারণ এটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করছে।
বিজেপি এই সমস্ত তথ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে কিনা, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে, ইলন মাস্কের গ্রোক থ্রি যদি ভবিষ্যতে আরো বেশি গোপন তথ্য প্রকাশ করে, তাহলে মোদি এবং বিজেপি তার বিরুদ্ধে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সময়ের সাথে সাথে, এটি নিশ্চিত যে গ্রোক থ্রি ভারতের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হতে পারে, যা জনগণকে সঠিক তথ্য জানাতে সহায়তা করবে এবং গণমাধ্যমের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।
রাজু