
ছবি: সংগৃহীত
ভারতে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি ও তাদের মতাদর্শিক সংগঠন আরএসএস। উন্নতমানের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) চ্যাটবট ‘গ্রোক-৩’ বিভিন্ন প্রশ্নের এমন সব তথ্যভিত্তিক উত্তর দিচ্ছে, যা কট্টরপন্থি এই দলগুলোর প্রচারণার বিপরীত। ফলে অনেক বিতর্কিত বিষয়ের সত্যতা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এর গ্রোক-৩ চ্যাটবট ব্যবহারকারীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে এবং তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ দিচ্ছে। গ্রোকের দাবি, এর প্রতিটি উত্তর তথ্যনির্ভর ও নিরপেক্ষ। তবে কিছু উত্তরের কারণে বিজেপি ও আরএসএসের মধ্যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।
কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর পেশাগত জীবন নিয়ে এক ব্যবহারকারীর প্রশ্নের জবাবে গ্রোক বলেছে, তিনি ‘বার অ্যাটেন্ডেন্ট’ হিসেবে কাজ করেছেন, তবে কোনো সময় ‘বার ডান্সার’ ছিলেন না। বিজেপির বহুদিনের প্রচারণার বিপরীতে গ্রোকের এই উত্তর ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদির ‘অনুপ্রবেশকারী’ মন্তব্যের প্রসঙ্গে গ্রোক জানিয়েছে, এটি ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদ’ উসকে দেওয়ার জন্য করা হয়েছিল। এছাড়া, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে আরএসএসের ভূমিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে গ্রোক বলেছে, সংগঠনটির ভূমিকা ছিল ‘ন্যূনতম বা শূন্য’।
বিজেপির অন্দরমহলে এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। দলটির অনেক নেতাই চাইছেন, গ্রোক-৩-এর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হোক। তবে এটি ইলন মাস্কের মালিকানাধীন হওয়ায় সরকার সরাসরি পদক্ষেপ নিতে পারছে না।
বিশ্লেষকদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে তথ্য যাচাই সহজ হচ্ছে, যা প্রচলিত রাজনৈতিক প্রচারণার ধরন পরিবর্তন করতে পারে। তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজেপি ও আরএসএস কী পদক্ষেপ নেয়, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
কানন