ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১

গাজায় ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ১৯ মার্চ ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ

হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারীরা

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ভয়াবহ হামলার প্রতিবাদে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ডের বাসভবন হোয়াইট হাউসের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারীরা। গাজায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে ট্রাম্প প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
প্রতিবাদ কর্মসূচির সময় ইসরাইলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি বন্ধ এবং গাজা-পশ্চিমতীরে ইসরাইলের দখলদারিত্বের অবসানের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। গাজার যুদ্ধবিধ্বস্তদের প্রতি সমর্থনের চিহ্ন হিসেবে বিক্ষোভকারীদের অনেকেই কেফিয়েহ নামের ফিলিস্তিনি স্কার্ফ পরেছিলেন। তাদের হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডও ধরা ছিল। সেসব প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ইসরাইলে সব ধরনের মার্কিন সহায়তা বন্ধ কর, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র চাই, যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো বোমায় নিহত হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ইসরাইলের ভূখণ্ডে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার জবাব দিতে ওই দিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। মধ্যস্থতাকারী ৩ দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও ইরাকের ব্যাপক প্রচেষ্টার ফলে প্রায় ১৫ মাস ধরে ভয়াবহ অভিযানের পর গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি দিতে সম্মত হয় ইসরাইল। যে চুক্তির ভিত্তিতে ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছিল, সেটি তিন পর্বে বিভক্ত। প্রথম স্তরে হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মি ও ইসরাইলের কারাগারগুলোতে থাকা বন্দি বিনিময়ের পাশাপাশি গাজায় খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ স্বাভাবিক করার শর্ত ছিল। দ্বিতীয় স্তরের শর্ত ছিল যে অবশিষ্ট সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস এবং গাজা থেকে নিজেদের সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেবে ইসরাইল। চুক্তির প্রথম পর্বের মেয়াদ ছিল ৬ সপ্তাহ। সেই মেয়াদ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। তারপর থেকে দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে সমস্যায় পড়েছে ইসরাইল ও হামাস। কারণ হামাস চাইছে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, অন্যদিকে ইসরাইলের আশঙ্কা, গাজা থেকে সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে নিজেদের সংগঠিত করে ফের ইসরাইলে হামলা চালাবে হামাস। এর মধ্যে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের দ্বৈত নাগরিক এবং ইসরাইলি বাহিনীর সেনা সদস্য ইদান আলেক্সান্দারসহ চার জন দ্বৈত নাগরিকের মরদেহ ইসরাইলকে ফেরত দেয় হামাস। ইসরাইলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে ইদান আলেক্সান্দার ও বাকি ৩ জনকে ইচ্ছাকৃতভাবে খুন করেছে হামাস যোদ্ধারা, তবে হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই নিয়ে দু’পক্ষের টানাপোড়েনের মধ্যেই গত সোমবার রাতে গাজায় ফের সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী।

×