
ছবি: সংগৃহীত।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যক্ষ মদদে ইসরাইল রোজাদার ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। কেবল মঙ্গলবারের হামলাতেই তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই শিশু। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, কারণ দেশটি ফিলিস্তিনিদের স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত বলে অভিযোগ উঠেছে।
গাজায় শান্তি ফেরানোর জন্য আরব বিশ্বের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে আমিরাত ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বলে দাবি করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই। এই ইস্যুতে আমিরাতের অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন কূটনীতিকরাও, কারণ এতে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
অধিকৃত গাজা উপত্যকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কিছুদিন আগে মিশর একটি পরিকল্পনা পেশ করে। আরব বিশ্বের নেতাদের একত্রিত করে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি সেই পরিকল্পনা অনুমোদন করান। কিন্তু গোপনে সেই পরিকল্পনায় বাধা সৃষ্টি করছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝানোর চেষ্টা করছে যে, তারা নিজেই গাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।
মিশর ও আমিরাত উভয়ই গাজার প্রশাসনিক দায়িত্ব ফাতাহর সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ দাহলানের হাতে তুলে দিতে চায়। তবে আমিরাত গোপনে মিশরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে হোয়াইট হাউসে তদবির চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে আমিরাতের প্রভাবশালী রাষ্ট্রদূত ইউসুফ আল ওতাইবা ট্রাম্প প্রশাসনের ঘনিষ্ঠজন ও মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, যাতে মিশরের পরিকল্পনাকে ভেস্তে দেওয়া যায়।
এদিকে, মিশরের সামরিক সরকার মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরোধিতা করলেও, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সংগঠনগুলোর সঙ্গে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার গোপন যোগাযোগ রয়েছে। বিশেষ করে কাশেম ব্রিগেডের মাধ্যমে মিশর গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আমিরাত মুসলিম বিশ্বের এই সংহতিকে দুর্বল করতে চায় এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=GOSGuq8Ticc
সায়মা ইসলাম