
গাজায় যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়েছে কারণ ইসরায়েলি বিমান হামলায় অবরুদ্ধ অঞ্চলে নতুন করে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। এই হামলার বিরুদ্ধে জাতিসংঘ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের মধ্যেই এই সহিংসতা আবার ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অবরোধ নিয়ে আলোচনা চলছিল।
জেনেভায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মানবিক সংকটের নিন্দা জানিয়ে বলেন, "আমরা আবারও ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য অসহনীয় মাত্রার দুর্ভোগ প্রত্যক্ষ করছি।" তিনি সকল পক্ষকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে এবং বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষার আহ্বান জানান।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, সর্বশেষ বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে যে, হামলাগুলি গাজা থেকে ছোড়া রকেট হামলার প্রতিক্রিয়ায় চালানো হয়েছে। তবে, মানবাধিকার সংগঠনগুলো সতর্ক করে বলছে যে নির্বিচারে বোমাবর্ষণ বেসামরিক জনগণের দুর্ভোগকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকে আল জাজিরার গ্যাব্রিয়েল এলিজোন্ডো জানিয়েছেন যে, কূটনীতিকরা উত্তেজনা কমানোর জন্য সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বারবার অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছে, তবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এখনো সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হয়েছে।
গাজার মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে, যেখানে হাসপাতালগুলো আহতদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ইসরায়েলি অবরোধ খাদ্য, পানি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রবাহকে আরও সীমিত করে দিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
বিশ্বনেতারা কূটনৈতিক সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে সহিংসতা এবং দুর্ভোগের মধ্যে গাজার জনগণ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি। জাতিসংঘ পুনরায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার এবং শান্তি আলোচনার প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে, তবে প্রতিদিনের সহিংসতার সাথে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা ক্রমশ ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
সাজিদ