
ছবি সংগৃহীত
গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বড় ধরনের আঘাত হানলো যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক আদেশে হঠাৎ করেই চাকরি হারালেন ভয়েস অব আমেরিকার (VOA) ১,৩০০ কর্মী।
গত ১৫ মার্চ ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সাতটি সরকারি গণমাধ্যম সংস্থাকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। এর আওতায় রয়েছে ভয়েস অব আমেরিকা, রেডিও ফ্রি ইউরোপ ও রেডিও ফ্রি এশিয়া। ফলে একদিনের ব্যবধানে শত শত সাংবাদিক, সম্পাদক ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বেকার হয়ে পড়েছেন।
গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অবস্থান নেওয়া ট্রাম্প শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক বক্তব্যে CNN, SBC, Wall Street Journal-সহ একাধিক সংবাদমাধ্যমকে "মিথ্যা সংবাদ প্রচারের কারখানা" বলে আখ্যা দেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক এক্স (Twitter) একাউন্টে লিখেছিলেন "সব বন্ধ করে দাও, কেউ এগুলো আর শোনে না।" এরপরই সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত এই গণমাধ্যমগুলো বন্ধের নির্দেশ আসে।
ভয়েস অব আমেরিকা দীর্ঘ ৮৩ বছর ধরে ৪৮টি ভাষায় সংবাদ সম্প্রচার করে আসছিল।রেডিও ফ্রি ইউরোপ ৭৫ বছর ধরে ২৭টি ভাষায় সংবাদ প্রচার করছিল। রেডিও ফ্রি এশিয়া ৩০ বছর ধরে ১০টি ভাষায় সংবাদ প্রচার করছিল।
বিশ্বের যেসব দেশে সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে স্বাধীন সংবাদমাধ্যম নেই, সেসব দেশেই (যেমন: চীন, রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া) এই গণমাধ্যমগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিল।
ভয়েস অব আমেরিকার কর্মীদের ইমেইলের মাধ্যমে জানানো হয় যে, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তারা অফিসে যেতে পারবেন না কিংবা অফিসের প্রযুক্তিগত কোনো ব্যবস্থাও ব্যবহার করতে পারবেন না।
ন্যাশনাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাইক বাসাম বলেছেন, "ভয়েস অব আমেরিকার মতো একটি ঐতিহ্যবাহী গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীন সাংবাদিকতার অঙ্গীকারের পরিপন্থি।" প্যারিসভিত্তিক ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’ জানিয়েছে, "এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হুমকি।"
আশিক