ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

বাংলাদেশ পরিস্থিতি ও সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন: তুলসী গ্যাবার্ড

প্রকাশিত: ০০:৩৮, ১৮ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ০০:৩৮, ১৮ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ পরিস্থিতি ও সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন: তুলসী গ্যাবার্ড

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং বিশেষ করে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড।

ভারতের দিল্লিতে এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, হত্যা ও সহিংসতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গভীর উদ্বেগ রয়েছে।

গ্যাবার্ড বলেন, "দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশে হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের জন্য এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।"

তিনি আরও জানান, নবনিযুক্ত মার্কিন প্রশাসনের সদস্যরা এ বিষয়ে বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন।

এনডিটিভি-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্যাবার্ড বলেন, "আমরা বাংলাদেশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ও রাজনৈতিক সহিংসতা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।"

তিনি আরও বলেন, "ইসলামি জঙ্গিবাদের বিপদ বাংলাদেশকেও প্রভাবিত করছে এবং এটি প্রতিরোধে ট্রাম্প প্রশাসন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"

একই বিষয়ে ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া আরেকটি সাক্ষাৎকারেও গ্যাবার্ড বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে আনেন।

তিনি বলেন, "ইসলামি সন্ত্রাসবাদীরা বিশ্বজুড়ে খেলাফতের আদর্শ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। এটি কেবল বাংলাদেশ নয়, ভারত, সিরিয়া, ইসরায়েল এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও প্রভাব ফেলছে।"

তিনি আরও বলেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই সন্ত্রাসবাদী আদর্শকে পরাস্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং এটি যাতে যুক্তরাষ্ট্র বা বিশ্বের অন্য কোথাও বিস্তার লাভ না করে, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।"

এদিকে, ভারত দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুরা চরম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার তাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এসব অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে।

গ্যাবার্ড বলেন, "আমরা দেখছি কীভাবে ভারত ও বাংলাদেশে ইসলামি জঙ্গিবাদ বিস্তার লাভ করছে এবং এটি আমাদের গভীর উদ্বেগের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই হুমকিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছেন এবং আমি নিশ্চিত দুই দেশ একযোগে কাজ করবে এই সমস্যা সমাধানে।"

সূত্র: বিবিসি

এম.কে.

×