
প্রতীকী ছবি
ভারতীয় অস্ত্র কারখানার এক কর্মচারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সামরিক বাহিনীর সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিল পাকিস্তান। অভিযোগ উঠেছে, পাচার হয়েছে সেনাবাহিনীর অস্ত্র উৎপাদন তালিকা, ড্রোন ও আকাশযান সংক্রান্ত প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ নথি।
এবারও অভিযোগের তীর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই (ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স) এর বিরুদ্ধে। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মূল অভিযুক্তসহ আরো একজনকে গ্রেফতার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এর আগেও ভারতের বিশাখাপাত্তাম নৌঘাঁটির তথ্য হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।
উত্তরপ্রদেশের এক সমরাস্ত্র তৈরির কারখানায় চার্জম্যানের দায়িত্বে ছিলেন রবীন্দ্র কুমার। যেখানে তৈরি হতো ভারতীয় সামরিক বাহিনীর এক রাইফেলস রেজিমেন্টের সামরিক সরঞ্জাম। এছাড়াও কারখানাটিতে চলছিল সেনাবাহিনীর ড্রোন ও আকাশযান সংক্রান্ত একাধিক প্রকল্পের কাজ।
গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনার সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। নারী গুপ্তচরকে ব্যবহার করে তথ্য পাচারের এমন অভিযোগ দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) এর বিরুদ্ধে।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, নেহা শর্মা নামের এক আইডির সাথে বছরখানেক ধরে ফেসবুকে যুক্ত ছিলেন অস্ত্রকারখানার ওই ব্যক্তি (রবীন্দ্র কুমার)। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে তৈরি হয় প্রেমের সম্পর্ক, ফাসানো হয় ওই ব্যক্তিকে। এক পর্যায়ে হোয়াটসঅ্যাপে অর্ডিনেন্স ফ্যাক্টরির তথ্য চাওয়া শুরু করে ওই পাকিস্তানি গুপ্তচর।
বলা হচ্ছে, হানিট্র্যাপের মাধ্যমে ওই কারখানার রিকুইজিশন লিস্ট, অস্ত্র উৎপাদন সংক্রান্ত নথি, ড্রোন ও আকাশযান সংক্রান্ত প্রকল্পের সংবেদনশীল তথ্য আদান-প্রদান হয় তাদের মধ্যে। এমনকি তথ্য পাচারের বিনিময়ে মোটা অংকের টাকাও দেয়া হতো ওই কর্মীকে।
সূত্র: https://tinyurl.com/4ppkjw6n
রাকিব