
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে স্থানান্তরের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা আরব ও আফ্রিকার দেশগুলো দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজাবাসীদের মিসর, জর্ডান, এমনকি সুদান, সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডে পুনর্বাসনের কথা ছিল। তবে দেশগুলো এই প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে।
এদিকে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরাতে পূর্ব আফ্রিকার সুদান, সোমালিয়া এবং সোমালিল্যান্ড—এই তিন দেশকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্পের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে তারা।
সুদানের সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব তারা কখনোই মেনে নেবে না। সোমালিয়া ও সোমালিল্যান্ডও এ বিষয়ে কোনো আলোচনা কিংবা যোগাযোগের কথা জানায়নি। গাজার প্রশ্নে আরব থেকে আফ্রিকা কেউ যেন এক চুলও ছাড় দিচ্ছে না।
ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনার কথা ফাঁস হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী জন্ম দিয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। ট্রাম্পের এই প্রস্তাব কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন গাজার ফিলিস্তিনিরাও।
এর আগে ২০ লাখ ফিলিস্তিনিকে আরবে পাঠাতে চেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আরব নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে ট্রাম্পের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।
সেই পরিস্থিতিতে আরব দেশগুলো তাদের ঐক্য বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে বিশ্বজনীন ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতা-বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়। এতেই ভীত হন ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু এবং পিছিয়ে যান এই পরিকল্পনা থেকে।
শিলা ইসলাম