
ছবি: সংগৃহীত
ইন্দোনেশিয়ার 'পবিত্র সুড়ঙ্গ' সেখানকার মুসলিমদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থানের মধ্যে একটি। এটি ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জলাপা প্রদেশের একটি ঐতিহাসিক গুহা। গুহাটি স্থানীয় ভাষায় "পবিত্র গুহা" নামে পরিচিত। যেখান সুরঙ্গ দিয়ে মক্কায় যাবার আশায় প্রতিদিন শত শত মানুষ আসেন। কথিত আছে শায়খ আব্দুল মুহিন ও অন্যান্য পূণ্যার্থীরা অলৌকিক শক্তির সাহায্যে এই পথ দিয়ে মক্কায় গিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন ১৭ শতকের একজন বিখ্যাত আলেম। যিনি পশ্চিম জাভায় ইসলাম প্রচার করেছিলেন।
স্থানীয় মৌলভী এন্দাং আজিদিন বলেন, এটি বিশেষ ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ উপহার হিসেবে বিবেচিত হয়। আমরা তো আর তাদের মত মক্কায় যেতে পারবো না। লোকমুখে এমনও শোনা যায় যার মাথা গুহার ভেতরের এই পাথরগুলোতে আটবে, তিনি হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। এখানে ঘুরতে আসা মীরাহ নামের একজন পর্যটককে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমি সত্যিই হজে যেতে চাই, তাই এখানে এসেছি। এমনকি এই গুহার ঝুলন্ত পাহাড় পাথর থেকে ঝরে পড়া পানিকে জমজমের পানির মত পবিত্র পানি মনে করা হয়।
ইন্দোনেশিয়া থেকে মক্কার দূরত্ব ৮০০০ কিলোমিটার। তবে এখনো কেন মানুষ এই বিশ্বাস ধরে রেখেছে সেই বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার নৃতত্ত্ববিদ আমানাহ নুরিশ বলেন, যাদের মক্কায় যাওয়ার সামর্থ্য নেই, তারা এখানে এসে মানসিক শান্তি এবং তৃপ্তি অর্জন করেন। এখানে আসার মাধ্যমে তারা অনুভব করেন যে, তারা কোনো না কোনোভাবে পবিত্রতায় অংশগ্রহণ করছেন এবং তাদের ধর্মীয় যাত্রা এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।
যদিও এই গুহার প্রাচীন কাহিনীগুলি রূপকথা বা মিথের মতো হতে পারে, কিন্তু এটি ইন্দোনেশিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। যা তাদের আধ্যাত্মিক এবং ধর্মীয় পরিভ্রমণের অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। ‘পবিত্র সুড়ঙ্গ’ একটি প্রাচীন ঐতিহ্য এবং স্থানের সাথে সম্পর্কিত, যা তাদের মনে শান্তি ও সহানুভূতির অনুভূতি তৈরি করতে সহায়তা করে, বিশেষ করে তাদের ধর্মীয় যাত্রার পথে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=xc5J-nwNFN4
ফারুক