
ছবি: সংগৃহীত
গত সোমবার (১০ মার্চ) রাতে দিল্লির লক্ষ্মী নগরে, মোহাম্মদ উবাইদুল্লাহ, একজন আরবি শিক্ষক, তার পাঠদানের পর বাড়ি ফেরার সময় একদল যুবক দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়। হামলাকারীরা ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী হতে পারে, তার মোটরবাইক থামিয়ে তাকে আক্রমণ করে।
“তারা আমাকে ঘিরে ধরে, 'কাঠমোল্লা' এবং 'পাকিস্তানি' বলে গালিগালাজ করে। একজন পিস্তল তাক করে আমাকে। তারা আমাকে মাটিতে টেনে নামিয়ে, লাথি মারে, গালি দেয় এবং চোখে ঘুষি মারে, যার ফলে আমার চোখ ফোলা হয়ে যায়। কোনোভাবে আমি পালাতে সক্ষম হই এবং বাইকটি রেখে চলে যাই,” উবাইদুল্লাহ ‘দ্য অবজার্ভার পোস্ট’-এ বলেন।
হামলার পরপরই তিনি একটি অভিযোগ দায়ের করলেও, উবাইদুল্লাহ দাবি করেছেন যে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রথম তথ্য রিপোর্ট (এফআইআর) দায়ের করা হয়নি। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে তার চাওয়া সত্ত্বেও ওই এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ সরবরাহ করা হয়নি।
“আমি একজন আইন মেনে চলা, শান্তিপ্রিয় নাগরিক। আমি এর আগে কখনো এমন কিছু অভিজ্ঞতা করি নি। এই পুরুষদের অশোভন আচরণে আমার অনুভূতিগুলি গভীরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত। আমি শিক্ষা দিই, এবং এটি আমি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যে উদাহরণ স্থাপন করতে চাই তা নয়,” তিনি তার অভিযোগে উল্লেখ করেন।
বর্তমানে, পুলিশ কোনো আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, যার ফলে উবাইদুল্লাহ বিচার ও উত্তর খুঁজছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার অভিযোগের দিকে যথাযথ মনোযোগ দেয়নি এবং তাকে সঠিক সাহায্য দেয়নি। উবাইদুল্লাহ পুরো ঘটনায় একে অপরকে আক্রমণকারী যুবকদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন, যাতে এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
এছাড়া, তিনি তার নিরাপত্তার বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। উবাইদুল্লাহ বলেন, “আমি শুধু বিচারের জন্য আবেদন করছি, যাতে অন্য কেউ এই ধরনের হামলার শিকার না হয় এবং আমার মতো কাউকে এ ধরনের নির্যাতনের মুখোমুখি না হতে হয়।”
এদিকে, দিল্লি পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং তারা হামলাকারীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। তবে, এখনও পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
আবীর