
মধ্যপ্রাচ্যের ভূরাজনীতিতে এক নতুন মোড়—ইরান এখন আর একা নেই। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাপ্রবাহ ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইরানকে আঘাত করা সহজ হবে না। চীন ও রাশিয়ার কৌশলগত সমর্থনে দেশটি এখন আরও শক্তিশালী অবস্থানে।
সম্প্রতি রাশিয়া, চীন ও ইরানের যৌথ সামরিক মহড়া আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। রাশিয়া তার অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ইরানের কাছে হস্তান্তর করছে, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে দুই দেশের গভীর প্রতিরক্ষা সহযোগিতার। অন্যদিকে, চীন ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি জোরালোভাবে তুলছে।
এই পরিস্থিতিতে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে ঘিরে বেইজিংয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিল চীন, রাশিয়া ও ইরান। বৈঠকের পর চীন ও রাশিয়ার শীর্ষ কূটনীতিকরা জানিয়ে দিয়েছেন—যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ছাড়া কোনো আলোচনা সম্ভব নয়। তারা আরও জানান, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক আইনের মধ্যে রয়েছে।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে বেরিয়ে গিয়ে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করেছিল। কিন্তু এর ফলে ইরান আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। বর্তমানে দেশটি পরমাণু কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এদিকে, চীন ও রাশিয়ার প্রকাশ্য সমর্থনে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, ইরানকে একঘরে করে রাখা আর সম্ভব নয়। যুক্তরাষ্ট্র যদি সত্যিকারের আলোচনা চায়, তবে তাকে ইরানের প্রতি সম্মানজনক নীতি গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়—যুক্তরাষ্ট্র কি আদৌ এই পথে হাঁটবে, নাকি নতুন কোনো কৌশল অবলম্বন করবে?
বিশ্লেষকদের মতে, ইরান এখন আর আগের মতো নিঃসঙ্গ নয়। চীন ও রাশিয়ার দৃঢ় অবস্থান ইরানকে এক নতুন কৌশলগত শক্তিতে পরিণত করেছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
সূত্র : https://www.youtube.com/watch?v=hX7m_I-CRB4
রাজু