
তিমিরা গভীর পানির নিচে খাবার খেলেও সমুদ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি এসে মলত্যাগ করে, যা ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন নামের ক্ষুদ্র সামুদ্রিক উদ্ভিদের খাবারের জোগান দেয় এ বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই জানেন বিজ্ঞানীরা। তবে এবার বিজ্ঞানীরা বলছেন, ৪৫ হাজার টনেরও বেশি জৈব পদার্থ বহন করে তিমি। খবর ইয়াহু নিউজের।
এসব উদ্ভিদই সমুদ্রের খাদ্য শৃঙ্খলের মূল ভিত্তি। মাছ, হাঙ্গর ও অন্যান্য অনেক সামুদ্রিক প্রাণীরা খাবার হিসেবে এসব উদ্ভিদ খায়। ইউনিভার্সিটি অব ভারমন্টের নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে, পুরো সমুদ্রের অববাহিকা জুড়েই বিপুল পরিমাণে পুষ্টি উপাদান পাঠায় তিমি। প্রতি বছর ঠাণ্ডা ও পুষ্টিকর পানি থেকে প্রায় চার হাজার টন নাইট্রোজেন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হাওয়াইয়ের মতো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে পাঠায় এরা। মানুষ তিমি শিকার শুরুর আগে এই পুষ্টিকর উপাদান পাঠানোর পরিমাণ ছিল বর্তমানের চেয়ে প্রায় তিনগুণ। সমুদ্রজুড়ে পুষ্টিকর উপাদান ছড়িয়ে দিতে এক চলমান পরিবাহক বেল্টের মতো কাজ করে তিমি। তিমি এক বিশালাকার জলজ প্রাণী। অনেকে মাছ বললেও এরা কিন্তু মাছ নয়, বরং মানুষের মতোই স্তন্যপায়ী প্রাণী। কারণ মাছের শ্বাস নেওয়ার জন্য ফুলকা থাকে কিন্তু তিমির রয়েছে ফুসফুস। অন্যান্য জলজ প্রাণীর চেয়ে তিমি ভিন্ন। এরা নিজেরাই ঠিক করে কখন শ্বাস নেবে বা কখন, কীভাবে ঘুমাবে। এরা এক চোখ খোলা রেখে ঘুমায়। একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য সুরেলা গানও গায় এরা। এ বিশালাকার প্রাণীরা কেবল সমুদ্রজুড়ে সাঁতারই কাটে না, বরং প্রস্রাব, বিষ্ঠা ও এদের ঝরে পড়া ত্বকের মাধ্যমে গভীর, ঠাণ্ডা পানি থেকে উষ্ণ ও গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাঠাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।