
ছবিঃ সংগৃহীত
নতুন একটি চকচকে লাল টেলসা গাড়ি কিনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কেনার সময় তিনি বলছেন, এই গাড়ি তিনি চালাবেন না। ট্রাম্প বলেন, আমি এই গাড়িটি কিনতে যাচ্ছি, কিন্ত খারাপ খবর হলো আমার গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের রাস্তায় গাড়ি চালানোর অনুমতি নেই। নিরাপত্তার বিবেচনায় এই নিয়ম করা হয়েছে। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য এই নিয়ম করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিস।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
টেসলার সিইও ইলন মাস্ক সম্প্রতি রাজনৈতিকভাবে সমালোচনা ও আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তিনি তার কোম্পানির একটি টেসলা গাড়ি কিনবেন।
এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট তার সবচেয়ে শক্তিশালী উপদেষ্টাদের ভিতরে সমর্থনের একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। ইলন মাস্ক গতবছর ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন এবং ট্রাম্পের এই মেয়াদের প্রশাসনের একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে ফেডারেল সরকারের ব্যয় সংকোচন তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, সত্যিকার মহান আমেরিকার ইলন মাস্কের প্রতি আস্থা ও সমর্থন প্রদর্শন হিসেবে তিনি একটি নতুন টেসলা কিনতে যাচ্ছেন। শেয়ারবাজারে টেসলার স্টক মূল্যের পতন হওয়াতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে কোম্পানিটি।
২০২৩ সালে কনজিউমার আ্যফেয়ার্সের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে প্রায় দুই কোটি ৪৩ লাখ মানুষের। কিন্ত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বা অন্যান্য সাবেক প্রেসিডেন্টদের এক সময় ড্রাইভিং লাইন্সেন্স থাকলেও প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাদের আর গাড়ি চালানোর অনুমতি থাকে না।
সিক্রেট সার্ভিসের উচ্চ প্রশক্ষিনপ্রাপ্ত এজেন্টরা গাড়ি চালান, আর প্রেসিডেন্ট বা সাবেক প্রেসিডেন্টরা চলাফেরা করেন। যদিও তাদের নিরাপত্তার জন্যই এই অবস্থা।
খুব যদি ইচ্ছা হয়, তাহলে কম্পাউন্ডের ভিতরে চালাবে। যেমন চালিয়েছেন অবসর নেয়ার পর, রোনাল্ড রিগ্যান ও জজ ডব্লিউ বুশ।
রিফাত